এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এনআরসি বা নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে এবার যেতেই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে, তীব্র সমালোচনা মোদী সরকারের

এনআরসি বা নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে এবার যেতেই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে, তীব্র সমালোচনা মোদী সরকারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আসামের এনআরসি নিয়ে এর আগে বড়সড় ঝামেলা হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আসামে এনআরসি প্রয়োগ নিয়ে। কিন্তু মোদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিরোধিতায় গুরুত্ব না দিয়ে এবার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে, যা রীতিমতো সমালোচনার তুঙ্গে তুলেছে মোদি সরকারকে। সমালোচকরা অনেকেই বলছেন, হিটলারের জমানায় ডিটেনশন ক্যাম্পের উল্লেখ ছিল, কার্যত আবার তা রূপ ফিরে পাচ্ছে মোদী জমানায়।

2014 সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভারতের বুকে যতগুলি ডিটেনশন ক্যাম্প আছে, সবগুলি বিজেপি সরকার গুঁড়িয়ে দেবে। কার্যত দেখা গিয়েছে, ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি তো রাখেনইনি, বরং পাল্টা নতুন ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছেন। আর এই নিয়েই বিরোধীরা এবার সরব হয়েছে। কার্যত জানা যাচ্ছে, গুয়াহাটি থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মূলত বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রাখার জন্য এই ক্যাম্প তৈরি হয়েছে।

তবে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অসমের বহু বাঙালিও নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ না করতে পেরে এই ডিটেনশন ক্যাম্পে জায়গা পাবেন। 2018 সালে আসামের দুধোনী নদীর তীরে এই বিশাল ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এই ডি-ক্যাম্পের 80% এর কাজ প্রায় শেষ। সমালোচকরা জানিয়েছেন, এই ডিটেনশন ক্যাম্প এতটাই বড় যে তার ভেতরে মোটামুটি সাতটি ফুটবল মাঠ করা যেত। জানা গিয়েছে, 25 একর জমির মধ্যে করা এই ডি-ক্যাম্পে 17 টি বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। যার প্রতিটিতে 200 জন থাকবেন। একই সাথে বাথরুম, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, বিনোদনের ব্যবস্থাও ভেতরে তৈরী করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেল কর্তাদের আবাসনও থাকবে ভেতরে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে সিসিটিভির কড়া নজরদারি থাকবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে আসামে ছটি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে, যেগুলি কোনো না কোনো জেলখানাকে ক্যাম্পের রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সেখানে নাগরিকত্ব প্রমাণে যারা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরকে রাখা হয়েছে। তবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের বিচার কিন্তু অন্য কথা বলছে। যাদেরকে বিদেশি বলে ডি-ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগই ভারতীয়। বলছেন নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ।

তিনি জানিয়েছেন, বহু গরিব মানুষ নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন বিভিন্ন কারণে এবং তাঁদের মধ্যে যে অনেকেই বাঙালি তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিরোধীদের দাবি, ডি ক্যাম্প কার্যত ভারতীয়দের জন্য লজ্জা। অন্যদিকে মোদি সরকারের মতে অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে সে ক্ষেত্রে বিদেশি না বাঙালি ডিটেনশন ক্যাম্পে কাদের জায়গা হবে, তা নিয়ে চলছে চূড়ান্ত বিতর্ক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!