এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে ভেস্তে গেল সিপিএমের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃনমূলের আনা অনাস্থা

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে ভেস্তে গেল সিপিএমের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃনমূলের আনা অনাস্থা

সম্প্রতি নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃনমূল। সূত্রের খবর, সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আনা তৃনমৃলের অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার একটি বৈঠকও ডাকেন বিডিও বাপি ধর। কিন্তু গ্রামেরই কয়েকজন বাসিন্দা নাগরিক মঞ্চের নাম করে সেই পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাদের বিক্ষোভের কারন জিজ্ঞাসা করলে এই নাগরিক মঞ্চেরই অনেক সদস্য জানান, “দীর্ঘদিন ধরে প্রধান না আসার জন্য কোনও কাজ হয় না পঞ্চায়েতে। এর বিরুদ্ধেই তাঁদের এই বিক্ষোভ।” তৃনমূল সূত্রে দাবি, তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা খাড়িয়াকে অপহরন করা হয়েছে। এদিন সেই পঞ্চায়েত সদস্যাকে খুজে বের করারও দাবি ওঠে তাঁদের তরফে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি রনক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিকে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিডিও এলেও তাকে অফিসে ঢুকতেই দেননি ক্ষুদ্ধ জনতা। এরপর কিছুক্ষন আধিকারিক নিয়ে অপেক্ষা করার পরই এলাকা ছাড়তে হয় বিডিওকে। সূত্রের খবর,বৈঠক করার মতো পরিস্থিতি না থাকায় ভেস্তে গেছে এদিনের এই অনাস্থা আলোচনা। সূত্রের খবর, এদিনের ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রশাসন সেই অভিযোগ সম্পূর্ন রুপে উড়িয়ে দিয়েছে। বিডিও বাপি ধর জানিয়েছেন, “পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনো ব্যাবস্থাই নিতে পারেনি।সমস্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। যা সিদ্ধান্ত সব ওনারাই নেবেন।” এদিকে এই অনাস্থা নিয়ে সিপিএম তৃনমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত।

তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “সিপিএম তো বৈঠকেই আসেনি।আমাদের এক সদস্যকে অপহরন করে রেখেছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আমাদের তরফে কেউ বৈঠক করতে বাধা দেয়নি। এই সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই এদিন মানুষ তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।” পাল্টা মন্তব্য করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। তিনি বলেন,”অনাস্থা প্রমান করতে যা সদস্য লাগে,তা তৃনমূলের ছিলই না।গুন্ডাবাহিনী নামিয়ে এদিন তাই ওরা বৈঠক করতে দেয়নি।”

সূত্রের খবর,পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী একবার অনাস্থা আনার পর এক বছরের মধ্যে আর কোনো অনাস্থা আনা যায় না। এদিন জীবেশ সরকার সেই কথা উল্লেখ করে বলেন,যদি আবার এ নিয়ে বৈঠক ডাকা হয় তাহলে আমরা আদালতে দ্বারস্থ হব। তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরন করার অভিযোগের কোনো ভিত্তিই নেই বলে জানিয়েছেন সিপিএমের এই জেলা সম্পাদক। সূত্রের খবর, 26 আসনবিশিষ্ট নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 13 জন সদস্য ছিলেন সিপিএমের।তৃনমূলের ছিল 14 জন। সম্প্রতি তৃনমূলের এক সদস্যাকে অপহরন করলে দুদলেরই সদস্য সংখ্যা দাড়ায় সমানে সমানে। এদিনের অনাস্থায় তৃনমূল তাদের 14 জন সদস্য হাজির করাতে পারেনি। অপরদিকে সিপিএমের সদস্যদের কাউকেই চোখে পড়েনি এদিন। এখন দেখার এই পঞ্চায়েত কার দখলে থাকে আর তা নিয়ে কীই বা নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!