পুনরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সমগ্র প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? কি বলছে আদালত? রাজ্য May 5, 2018 কলকাতা হাইকোর্ট আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। শুক্রবার এই কথা পরিস্কার ভাষায় জানালো হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। এরফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অপরাধীর আসন চ্যুত হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। আগামী ১৪ ই মে সমস্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আদতে সম্ভব কী না এখন সেটা নির্ভর করে আছে কতকগুলি শর্তের ওপরে। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাইকোর্ট কোনো হস্তক্ষেপ করবেনা জানিয়ে দিলেও নির্বাচন পরিচালনার কাছে কমিশনের একাধিক ত্রুটি উত্থাপন করে কঠোর সমালোচনা করেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিন বিচারপতি জানালেন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান সময়ে তৈরী হওয়া আইনী জটিলতা কমিশনের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য হাইকোর্ট এই রায় দান করে কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষালের করা মামলার ভিত্তিতেই। ঋজু ঘোষাল অভিযোগ করেছিলেন, পঞ্চায়েত আইন না মেনেই নির্বাচন কমিশন বর্ধিত মনোনয়নের দিন ঘোষণা করেছে । তাই নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অবৈধ। তা বাতিল করা হোক। এবং পুনরায় মনোনয়ন দিন ঘোষণা করা হোক। এই মামলাতেই কোনোরকম হস্তক্ষেপ করবেনা জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে স্বভাবতই স্বস্তিতে নিশ্বাস ফেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে এইসময়ে বিচারপতি যদি মনোনয়ন বর্ধিত দিন বাতিলের নির্দেশ দিতেন তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নানা আইনী ফাঁসে একেবারে মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছে যেত। এদিনের রায়ের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন প্রধান বিচারপতি জগন্নাথ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাহিনী-জট মিটলেই আগামী ১৪ ই মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে কোনো আইনী বাধা থাকবে না। তবে ১৪ই মে নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে গেলে রাজ্য ও কমিশনকে আদালতের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এখন সেই বিষয়ে জোড়ালো তৎপরতা চলছে। উল্লেখ্য আগামী ১৪ মে এক দফায় ভোট করতে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করতে হবে। অতি স্পর্শকাতর, স্পর্শকাতর ও সাধারণ বুথে বাহিনী-বিন্যাস কী হবে, তা রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে। এবং সেই রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট হলেই ১৪ ই মে পঞ্চায়েত নির্বাচন চুড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে এখনও যদি নিরাপত্তার জন্যে প্রয়োজনীয় বাহিনীর অভাব দেখা যায় তাহলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন পিছিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট প্রবণতা রয়েছে। যদি এইরকম কিছু হয় এর জেরে সাধারন মানুষের জীবনে যে এই ঘটনার প্রভাব পড়বে তা হলফ করেই বলা যায়। আপনার মতামত জানান -