শিক্ষামন্ত্রী বলার পরও যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই – জানালেন বিরক্ত পার্থ চ্যাটার্জি! কলকাতা রাজ্য February 25, 2019 পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য ঘেরাও কর্মসূচির এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় এখনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিচ্ছে না তা নিয়ে বেজায় ক্ষোভ জাহির করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে মন্ত্রী জানালেন,”শিক্ষামন্ত্রী বলার পরও যদি তারা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ই মেটাবে।” প্রসঙ্গত, নির্বাচিত ছাত্র সংসদ এবং অবিলম্বে ছাত্র ভোটের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভের পথে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আর এর জেরেই শুক্রবার থেকে সহ উপাচার্য (আপাতত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) প্রদীপ ঘোষকে আটক করেছে আন্দোলনকারীরা। যতক্ষণ তাঁদের দাবী মানা না হবে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেই জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,ছাত্র কাউন্সিল গঠনের বিরোধীতা করে প্রদীপবাবুকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে গেলে তিনি তা শুনতেই রাজি হননি। আর এজন্যেই নিজেদের দাবীতে অটল রয়েছেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের একাংশের বক্তব্য,’আমরা আমাদের কথা বলতে তাঁর কাছে গেলে, তিনি কিছুই শুনতে চাইছেন না। কয়েকটি সীমিত কথা ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি নন সহ উপাচার্য। ফলে অবস্থান যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রবিবার বিকেল পর্যন্ত সহ উপাচার্য ঘেরাও কর্মসূচি ৪৮ ঘন্টা অতিক্রম করে গিয়েছে৷ আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি রয়েছে। কাজেই নতুন করে কোনো বড় কর্মসূচি আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করতে পারে, তাতে সন্দেহের অবকাশ কম। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যা পরিস্থিতি রয়েছে তাগে আন্দোলন উঠে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। বরং পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে৷ এর মধ্যেই গোটা ইস্যুকে নিয়ে অসন্তুষ্ট মনোভাব প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রীকে এদিন প্রশ্ন করা হল,যাদবপুর নিয়ে শিক্ষাদপ্তর কোনো রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নাকি? তাতে শিক্ষামন্ত্রী সাফ কথায় জানান,এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কিছুই চাওয়া হয়নি। শিক্ষা দপ্তরের এই ইস্যুতে ঢোকার কোনো কারণ নেই। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তাকে বোঝানো জরুরি যে তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী,এমনটাই ধারণা শিক্ষামহলের। তাছাড়া,পড়ুয়ারা যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবী করেছেন তাতোও রাজি নন মন্ত্রী। পড়ুয়াদের দাবীকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বললেন,”এটা কি লেবার কমিশনের অফিস নাকি, যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে! সব নিয়ম ভেঙে শুধু যাদবপুরের জন্য পৃথক নিয়ম চালু করা সম্ভব নাকি!” এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন বিক্ষুব্ধ যাদবপুরের পড়ুয়ারা। আর্টস ফ্যাকাল্টি ছাত্র সংসদ আফসুর সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ সামন্তের বক্তব্য,শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইউনিয়ন দাবি করা হচ্ছে, তেমনটা তো নয়। গোটা রাজ্যের জন্যই এই দাবি করা হচ্ছে। যাদবপুর তো আর রাজ্যের বাইরে নয়। আর এই সমস্যার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না। তাই সেজন্যেই যতক্ষণ না দাবীদাওয়া পূরণ হবে এই আন্দোলন থামবে না,বরং আরো জোরদার করা হবে যাতে শিক্ষামন্ত্রী যাদবপুরের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হন। যাদবপুর বিশ্বিবদ্যালয়ের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আন্দোলন কোন দিকে গড়ায় তা নিয়েই চাপানউতোর চলছে শিক্ষামহল তথা রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য,উক্ত ঘটনার তদন্ত করে শুধু কমিটি গঠন করা হবে বলেই প্রাথমিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপনার মতামত জানান -