এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রার্থী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রাক্তন মন্ত্রীর অনুগামীদের, ইস্তফার হিড়িক, উত্তাল উত্তরবঙ্গ!

প্রার্থী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রাক্তন মন্ত্রীর অনুগামীদের, ইস্তফার হিড়িক, উত্তাল উত্তরবঙ্গ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রতিবার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার দিনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। এখনো পর্যন্ত তৃণমূল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। আর সেই ব্যাপারটিই কি এবার অশুভ হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে? গত 2011 সালের পর 2016 সালে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন শংকর চক্রবর্তী। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন। কিন্তু এবার সেই শংকর চক্রবর্তী টিকিট নাও পেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে বেশকিছু নাম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছিল। কে হবেন বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শোরগোল। আর এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণপন্থী ঘরানার সঙ্গে যুক্ত কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট আইনজীবী শেখর দাশগুপ্তের নাম নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়।

আর সোমবার সেই শেখরবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন শুনতে পেয়ে রীতিমতো প্রতিবাদ করতে শুরু করেন শংকর চক্রবর্তীর অনুগামীরা। বিক্ষোভে রীতিমতো উত্তপ্ত হতে শুরু করে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের আগে রীতিমত ফুটতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতি।

বলা বাহুল্য, সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র এবং জেলা সভাপতি গৌতম দাসের উপস্থিতিতে বালুরঘাটে জেলা তৃণমূলের কার্যালয় শেখর দাশগুপ্ত তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই খবর কানে আসতেই জেলা তৃণমূলের কার্যালয় ধাকা শংকর চক্রবর্তীর অনুগামীরা রীতিমত ময়দানে নেমে পড়েন।

কোনোভাবেই শেখরবাবু এবং তার অনুগামীদের জেলা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন তারা। পরবর্তীতে অবশ্য জেলা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে জেলা সাংবাদিক ভবনের সামনে বিপ্লব মিত্র এবং গৌতম দাস দলের পতাকা তুলে দেন শেখর দাশগুপ্তের হাতে। আর এর পরেই বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, শেখর দাশগুপ্তকে দলে যোগদান করার প্রতিবাদে ইস্তফা দিতে চলেছেন একাধিক নেতা নেত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শংকর চক্রবর্তীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বালুরঘাট শহর তৃণমূলের সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বোর্ডের একাধিক নেতা এবং মহিলা এবং যুব সংগঠনের জেলার একাধিক পদাধিকারী ইস্তফা দিতে পারেন। মূলত শংকর চক্রবর্তীর ছত্রছায়ায় থাকা জেলা এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদে দলের কাছে তাদের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে যদি এই ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে তা যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, সেই ব্যাপারটি কার্যত পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এমনিতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির কারণ। বিগত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন হোক বা 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এখানে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে শাসক দলকে। তবে এবার বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই পরিস্থিতিতে শংকর চক্রবর্তী বা তার পরিবারের কেউ প্রার্থী হতে পারে বলে আশা করেছিলেন শংকরবাবুর অনুগামীরা। কিন্তু তার মাঝেই শেখর দাশগুপ্তের নাম নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

আর সেই গুঞ্জনের মাঝেই হঠাৎ করে শেখর দাশগুপ্ত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার সাথে সাথেই তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করেন শংকরবাবুর অনুগামীরা। আর কোনোভাবেই শেখর দাশগুপ্তকে তারা মেনে নেবেন না বলে ইস্তফা দিতে চলেছেন বালুরঘাট শহর জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী বলে খবর। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে যদি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে কিভাবে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দেবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!