এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের পরিকল্পনায় এগোতে পারছেন না তৃণমূলের হেভিওয়েটরা! ক্রমশ এগোচ্ছে বিজেপি! বিস্ফোরক অভিযোগ

পিকের পরিকল্পনায় এগোতে পারছেন না তৃণমূলের হেভিওয়েটরা! ক্রমশ এগোচ্ছে বিজেপি! বিস্ফোরক অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা যায়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির বিজেপির কাছে। ঠিক সেই সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দ্বারস্থ হন ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের। আর তার পরেই শাসকদলের ছবিটা কিছুটা পাল্টাতে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে।

দেখা যায়, উপ-নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল রাজ্যের হৃত জমি বেশ কিছুটা উদ্ধার করতে পেরেছে। কিন্তু এবার সামনে আরো বড় লক্ষ্য- 2021 এর বাংলার মসনদ নিজেদের দখলে রাখা। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারছেনা ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি যখন সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিশাল ভাবে সমর্থন আদায় করছে সাধারণের তখন সেখানে রাজ্যের শাসক দল সোশ্যাল মিডিয়াকে সেই অর্থে নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারছেনা।

2014 সালে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখনও তাঁর পেছনে পরামর্শদাতা হিসাবে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এবং তাঁর বুদ্ধিতেই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে দিল্লীর মসনদ দখল করেছিল বিজেপি। 2021 এর বাংলা মসনদ দখলেও বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সেই অর্থে পাল্লা দিতে পারছে না বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল শিবির থেকে বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াকে যেভাবে ব্যবহার করছেন তা তৃণমূলের বিপক্ষে যাচ্ছে। অথচ দেশের বর্তমান করোনা আবহে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যে রাজ্যের তৃণমূল শিবিরকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়াকে অপব্যবহার করা হয়, তাহলে কিন্তু তা পাল্টা ক্ষতি করবে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং বিধায়করা ড্রোভে নামক একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, কিন্তু সে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তাঁদের সম্যক কোন ধারণা নেই। যার ফলে এমন কিছু পোস্ট হচ্ছে ওই অ্যাকাউন্টে, যেগুলি দলের বিপরীতে যেতে পারেবলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিম অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

বলা হচ্ছে, যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা নেত্রীরা বেফাঁস মন্তব্য করছেন তার খেসারত কিন্তু ভবিষ্যতে দিতে হবে দলকে। এবং এর ফলে প্রচার পরিকল্পনাও যথেষ্ট ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে বলে মত আইপ্যাক কোম্পানীর। অন্যদিকে যেহেতু তৃণমূলের প্রচার কৌশলের দায়িত্বে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর, তাই তাঁর মাথা ব্যাথাই সব থেকে বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, আগামী দিনে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক তৃণমূল নেতা-নেত্রীকে আর দেখা যাবে না।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য একমাত্র রাস্তা এবং খুব সহজ রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তা যদি সহজ ভাবে ব্যবহার না করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা হয় তাহলে তার খেসারত ব্যবহারকারীকে দিতেই হবে।

দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে রীতিমতন প্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি বাংলায় অমিত শাহ রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়ে গেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অতএব বোঝাই যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে যদি এই যুগে দাঁড়িয়ে করায়ত্ত না করা যায়, তাহলে কিন্তু প্রতিযোগিতার যুগে ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!