বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকতে দেখা গেছে তাকে। এবারও তার কোনরূপ ব্যতিক্রম হল না। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বা আগে কখনও বিরোধীদের চরম চরম ঢাক, আবার কখনো বা গুড় বাতাসা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আর এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে যখন রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল, ঠিক তখনই প্রতিবাদের আওয়াজ চওড়া করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিতর্কিত ভাষায় বিঁধলেন অনুব্রত মণ্ডল।

সূত্রের খবর, সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে এনআরসি এবং ক্যাব বিরোধী একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যে মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “মূর্খ” এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে “মাথামোটা” বলে অভিহিত করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

তিনি বলেন, “ভারতবর্ষে নরেন্দ্র মোদীর আগে বহু প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। জহরলাল নেহেরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির অটলবিহারি বাজপেয়ি। কিন্তু তারা কেউ এনআরসি এবং ক্যাবের মত কালাকানুন দেশে নিয়ে আসেননি। তাদের যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। আর ভারতবর্ষে এখন দুজন মূর্খ এবং মাথামোটা আছে। এদের মাথায় কি আছে জানি না। যে মাথায় কোনো বুদ্ধি নাই। বাংলার মানুষ গর্জে উঠেছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বিজেপির কালাকানুন চালু করতে দেব না।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, প্রতিরোধ হবে। বিশেষত তৃণমূলের বিরোধিতার পথ বেছে নিয়েছে। তখন তারা প্রতিবাদ করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য করা কি কোনো বিরোধী নেতার সাজে! এতে কি ভারতের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয় না! এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।