এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের আরেকটি রাজ্য হাতছাড়া বিজেপির, বিরোধীদের তোপের মুখে গেরুয়া শিবির, বাড়ছে অস্বস্তি

ফের আরেকটি রাজ্য হাতছাড়া বিজেপির, বিরোধীদের তোপের মুখে গেরুয়া শিবির, বাড়ছে অস্বস্তি


 

লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলো একজোট হয়েছিলেন। তারা চেষ্টা করেছিলেন, কেন্দ্রে যাতে এবার বিজেপি সরকার না আসে। কিন্তু তার পরেও বিজেপিকে আটকানো যায়নি। মোদি ঝড়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের 2019 সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে 2019 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যেন সময়টা ভাল যাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের। মহারাষ্ট্রের পর এবার আরেকটি রাজ্য হাতছাড়া হল বিজেপির। তা হল ঝাড়খন্ড। সোমবার সকালে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হওয়ার একদম শুরুর দিকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, হাওয়া কোন দিকে এগোচ্ছে। পরবর্তীতে শীতের সকালের কুয়াশার চাদর সরিয়ে হালকা রোদ্দুর দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই স্পষ্ট হয়ে যায়, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে কংগ্রেস জোট।

পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। আর বিজেপির হাত থেকে ঝাড়খন্ড রাজ্য চলে যাওয়ায় এখন রীতিমত উচ্ছ্বসিত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিজেপির শরিক থাকা শিবসেনা এদিন এই ফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে শিবসেনা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে ঝাড়খন্ডে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। তারপরও এবারের নির্বাচনে জেতার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। বিজেপিও মোদীজিকে সামনে রেখে ভোট প্রচারে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে কি হল! আসলে নাগরিকত্ব আইন সাহায্য করার বদলে বিজেপির ক্ষতি করেছে। এর জন্য আরও একটি রাজ্য হাতছাড়া হল। আমার মনে হয়, এবার বিজেপির এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা উচিত। কেন মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ড হাতছাড়া হল, তার কারণ খতিয়ে দেখা উচিত।”

একইভাবে বিজেপিকে ঠেস দিয়ে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “এই নির্বাচনে মহাগঠবন্ধন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে, তা এককথায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে আমরা লড়াই করেছিলাম। তিনিই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ফলাফলের পর বিজেপি বিরোধী দলগুলো একসঙ্গেই আছে। আর তার ফলেই সাফল্য মিলেছে বলে জানান এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। এদিকে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে যাওয়া হেমন্ত সোরেনকে এদিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রাজ্যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিজেপি সব রকম সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তবে ঝাড়খন্ড রাজ্য পরাজয়ের ব্যাপারে নিজের কাঁধেই দায় নিয়েছেন এখানকার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রঘুবর দাস। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে বিজেপি একের পর এক রাজ্যে হারতে শুরু করেছে, তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এককাট্টা হচ্ছে। আর তার ফলেই সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে সেই বিরোধীরা। আর ঝাড়খন্ডেও সেই একই প্রবণতা দেখা গেল।

তবে বিজেপি কেন এইভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বিজেপিকে বিপাকে ফেলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট বর্তমানে অনেকটাই সাফল্য দেখতে শুরু করেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!