এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঝাড়খন্ডে ভরাডুবি কি দিল্লি ও বিহারে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিল? বাংলা নিয়েও শঙ্কার মেঘ?

ঝাড়খন্ডে ভরাডুবি কি দিল্লি ও বিহারে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিল? বাংলা নিয়েও শঙ্কার মেঘ?

 

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধীদের কার্যত তটস্থ করে তুলেছিল। দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসার মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখে বিরোধী শিবির হয়ে গিয়েছিল হতাশ। তবে রাজনীতি সব সময় এক গতিতে চলে না। আর তাই তো লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করলেও, একের পর এক রাজ্যে বর্তমানে তারা পর্যুদস্ত হতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে পর ঝাড়খন্ডেও ক্ষমতা দখল করতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি।

যেখানে ফের জয় হল বিরোধী শক্তির। আর মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডে বিজেপির এইভাবে পরাজয় এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কপালে আশঙ্কার টিকা বহন করে আনতে শুরু করেছে। সামনে দিল্লি এবং বিহার বিধানসভার ভোট। তাই সেদিক থেকে দিল্লি ভারতবর্ষের রাজধানী এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারাতে পারবে কিনা!

তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেননা 2014 সালে কেন্দ্রের শাসকদলের ক্ষমতায় বিজেপি এলেও, তারা দিল্লির ক্ষমতার দখলে নিতে পারেনি। ফলে এবার যখন বিজেপি একের পর এক রাজ্যে হারতে শুরু করেছে, তখন তাদের পক্ষে দিল্লির ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়ে দেওয়া যে অতটা সহজ হবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিহার নিয়েও বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেননা সম্প্রতি একাধিক উপনির্বাচনে আরজেটি এবং কংগ্রেসের জোট এনডিএকে হারিয়ে অনেক আসনে জয়লাভ করেছে। তাই সেদিক থেকে বিহার জয় যে বিজেপির কাছে অতটা সহজ নয়, সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত বিজেপি বিরোধী দলগুলো।

তবে এতসব কিছুর মধ্যে বিজেপির কাছে সবথেকে চিন্তার কারণ পশ্চিমবাংলা। কেননা সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি 18 টি আসন পেয়েছে। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি হারতে শুরু করায় বাংলাতে যদি তার প্রভাব পড়ে, তাহলে বাংলার মানুষ আবার তৃণমূলের পক্ষে রায় দেবে। যার ফলে বিজেপিতে পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ইতিমধ্যেই জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে প্রচার করতে শুরু করেছে। তাই সেদিক থেকেও বিজেপি কিছুটা হলেও একঘরে হয়ে পড়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি বিজেপি নতুন করে উদ্যম নিয়ে রাস্তায় না নামতে পারে, তাহলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে নির্বাচন হওয়া রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখল স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!