এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মিড ডে মিল নিয়ে এবার বড়সড় আন্দোলনের পথে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন

মিড ডে মিল নিয়ে এবার বড়সড় আন্দোলনের পথে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন


রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়াতে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আদালতে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হল। সূত্রের খবর, আদালত খুললেই এই ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই। তাদের দাবি, রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রও যেন এই মিড ডে মিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

জানা গেছে, নিজের সংগঠন নিয়ে কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এই পিন্টু পাড়ুই। আর এবার মিড ডে মিল নিয়ে তার এই হুশিয়ারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বস্তুত, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে মিড ডে মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এদিন তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন পিন্টুবাবু। তিনি বলেন, “বাস্তব জ্ঞান ছাড়া আধিকারিকরা কিভাবে এসব পরিকল্পনা করছেন, কে জানে! হাওড়ার যে স্কুলে আমি প্রধান শিক্ষক, সেখানে মিড ডে মিল খাওয়াতে গিয়ে আমাদের পকেট থেকে হাজার দুয়েক টাকা মাসে বেরিয়ে যায়।” প্রাথমিকে মাথাপিছু যে 4 টাকা 48 পয়সা বরাদ্দ হয়, তাতে শুধু চাল নয়, তেল, জ্বালানি, সবজি, ডিম কিনতে হয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী স্কুলে যতজন পড়ুয়া আসে, সেটাই হিসেব বাবদ দেখাতে হয়। আর এইখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। যদি কোনোদিন স্কুলের সমস্ত পড়ুয়া চলে আসে, তাহলে বাড়তি অর্থ পাওয়া যায় না। অর্থাৎ 85% অর্থ দিয়েই সমস্ত খরচ চালাতে হয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে পিন্টু পাড়ুই বলেন, “বিডিওর তরফে বলা হচ্ছে, কমিউনিটি কিচেন করে 25-30 টি স্কুলের রান্না একসাথে হবে। সেই রান্না করা খাবার স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা হবে। আমরা সেই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় বাস্তবে এটা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি বাচ্চারা ঠিকমতো না আসে, তাহলে সেই খাবার বাতিল হয়ে যাবে। তখন তো যে সংস্থা কিচেন চালাবে, তাদেরকেই তা বহন করতে হবে। আমরা চাই কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারই যেন এই ব্যাপারে এগিয়ে আসে। দুই পক্ষই যেন তাদের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে।”

সব মিলিয়ে মিড ডে মিল নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার অ্যাসোসিয়েশন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিলে এখন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!