গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা শাসকদলের দাপুটে নেতাকে রাজ্য June 4, 2018 ভোট মিটে গেলেও সন্ত্রাসের কবল থেকে কিছুতেই মিলছে না রেহাই। রাজ্যের নানা প্রান্তে ‘সন্ত্রাস’ ভাইরাস সক্রিয় হয়ে আছে। পুরুলিয়া উত্তপ্ত হয়ে আছে দুই বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্য নিয়ে। অভিযোগের তীর রয়েছে শাসকদলের দিকে। আবার এদিন উওরবঙ্গ যেখানে শাসকদল এবার দাপিয়ে বেড়ালো পঞ্চায়েত ভোটে,সেখান থেকেই খবর এক তাঁদেরই এক কর্মীকে নাকি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এরা আবার অভিযোগে টেনেছে বিজেপির নাম। এই পারস্পরিক অভি্যোগের বল ছোঁড়াছুঁড়িতেই জেরবার রাজ্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক্ মূল ঘটনাটি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। এবারের নির্বাচনে এখানেও উড়েছে স্বমহিমায় জোড়াফুলের পতাকা। এখানের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহিরুদ্দিন মিয়াঁ অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, এদিন রাতে তিনি যখন বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাকে লক্ষ্য করে একদল দুষ্কৃতি পেট্রোল ছোঁড়ে। বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে যান তিনি। তারপর হামলাকারীরা তাঁর গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। আধপোড়া অবস্থায় কোনোমতে সেই স্থান থেকে সরেন তিনি। তাঁর আর্তনাদ শুনে জড়ো হয় স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। এবং তৎপরতার সঙ্গে ওই অবস্থায় তাকে নিয়ে যান স্থানীয় ভানুকুমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জখম গুরুতর দেখে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহারের শহরের এক নামী নার্সিংহোমে। জানা গিয়েছে, আহত শাসকদলের ওই নেতার মুখের একাংশ পুড়ে গেছে,তবে শরীর এখন স্থিতিশীল অবস্থাতেই রয়েছে। বাইকটি আর পাওয়া যায়নি। ওটি পুড়ে ছাই হয়েছে। এরকম পাশবিকতার সঙ্গে কারা তৃণমূলেরই এলাকায় তৃণমূলকেই ধরাশায়ী করার চেষ্টা করল তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন। তবে স্থানীয় শাসকদলের নেতা তথা দলীয় কর্মীরা বলছে এ কাজ বিজেপির। উওরবঙ্গে তাঁরা তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারেনি বলে হিংসার বশবর্তী হয়ে এই ধরণের হীন কাজ করেছে। যদিও এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে গেরুয়াশিবির। তাঁরা উল্টে বলেছে,তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো পুলিশি তদন্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোচবিহার থমথম করছে,পুরুলিয়ারই মতো। আপনার মতামত জানান -