এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে টিএমসিপির বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত অধ্যক্ষা- অধ্যাপিকারা, পুলিশ নির্বিকার

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে টিএমসিপির বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত অধ্যক্ষা- অধ্যাপিকারা, পুলিশ নির্বিকার

ফের শিক্ষাঙ্গনে অশান্তিতে অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এবার কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানকে বানচাল করার অভিযোগ উঠল সেই শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, গতকাল চুঁচুড়ার পিপুলপাতি হুগলি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে একটি অনুষ্ঠান শুরু হয়। যেখানে পুরস্কার বিতরণ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই চলছিল। কিন্তু হঠাৎই এই অনুষ্ঠান চলাকালীন কিছু বহিরাগত কলেজে ঢুকে পড়ে সেই অনুষ্ঠানে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

জানা গেছে, কলেজে ঢুকেই তারা প্রথমে অধ্যক্ষাকে প্রশ্ন করে যে, কেন তাদের না জানিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে! আর এরপরই এই গোটা ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষা সহ অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় সেই বহিরাগতদের। এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে সেই বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।

আর এরপরই কলেজের বাইরে কিছু ছাত্রছাত্রী, অধ্যক্ষা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা মিলে বসে থেকে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। এমনকি রাস্তাতেই এই অনুষ্ঠান করার কথা ঘোষণা করেন এই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সেখানে বিক্ষোভ চালিয়ে রাত্রিবেলা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেও প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।

এদিকে এই গোটা ঘটনায় প্রবল চাপে পড়ে হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা। তড়িঘড়ি গতকাল সন্ধ্যা সওয়া ছটা নাগাদ কলেজ চত্বরে এসে অধ্যক্ষা, অধ্যাপিকাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা। পাশাপাশি আজ এই ব্যাপারে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের জেলা নেতৃত্বরা। অন্যদিকে এই গোটা ঘটনায় বহিরাগতদের এহেন বাড়াবাড়িতে প্রবল ক্ষুব্ধ কলেজের সিংহভাগ ছাত্রীরা।

এদিকে গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন এই হুগলির পিপুলপাতি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা সীমা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু নেতৃত্তের বারণ সত্ত্বেও কেন এইভাবে কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের দাপট? এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “এই কলেজে এখন সংসদই নেই। কাজেই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যোগ থাকার কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

অন্যদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা দুজনেই বলেন, “আমরা বিধানসভায় আছি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলব।” একই কথা বলে নিজেদের দিকে ওঠা সম্পূর্ণ দোষ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন তিনি বলেন, “বেশ কয়েক মাস আগেই এই কলেজ ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন যোগ নেই।” রাজনৈতিক মহলের মতে, শিক্ষাঙ্গনের এই বহিরাগত তান্ডব বারবার শাসকদলের পক্ষ থেকে বন্ধ করার চেষ্টা হলেও এবার হুগলির ওমেন্স কলেজ ফের এহেন ঘটনা ঘটায় প্রবল অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবিরও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!