এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে বেকারত্বের করুন অবস্থা প্রকাশ্যে, সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য

রাজ্যে বেকারত্বের করুন অবস্থা প্রকাশ্যে, সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য

রাজ্য বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না। তাই যখন যেরকম সুযোগ আসুক না কেন, সরকারি বা বেসরকারি, সমস্ত সুযোগের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছে বেকার যুবক যুবতীরা। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েরাও সামান্য কাজের জন্য আবেদন করে বসে আছে। এদিন এমন ঘটনারই সাক্ষী হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।

সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে ‘ওয়ার্ড মাস্টার’ যাদের বর্তমানে পোশাকি নাম ‘ফেসিলিটি ম্যানেজার’ পোস্টে 819 জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এর তরফ থেকে। যার নূন্যতম যোগ্যতা বলা হয়েছিল স্নাতক। কিন্তু সাড়ে তিন লক্ষ আবেদন পত্রের মধ্যে দেখা গেল চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বিটেক, মেকানিক্যাল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ডিগ্রিধারীরা রয়েছে।

যা দেখে বিস্ময়ে হতবাক স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা। ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে নিয়োজিত হলে বর্তমান মাইনে হবে প্রায় 25000 টাকার মতন। আর তা পেতেই বহু কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের আপ্রাণ চেষ্টা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মঙ্গলবার এই পদের নিয়োগে প্রাথমিক পর্বে 16 হাজার জনের নাম রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রচুর প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের বিপুল পরিমাণে নাম্বার পেয়েছেন। যা দেখে রীতিমত দুর্নীতির অভিযোগ উঠে যায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি।

এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন আবেদনে যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় কেউ কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ভুল তথ্য দিতে পারে। সেই তথ্যগুলি একমাত্র নথি যাচাইয়ের সময় ধরা পড়বে। তাতে অনেক আবেদন বাতিল হলেও খুব বেশি হেরফের হবেনা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই 16000 প্রার্থীর মধ্যে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ার মিলিয়ে অন্তত 12 হাজার জন আবেদন করেছে এবং তার মধ্যে বি-টেক, সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও রয়েছে। তাদের সংখ্যা প্রায় 9 হাজার ছুঁয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রেক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান তাপস মণ্ডল জানান, “বাছাই তালিকায় আবেদনকারীদের মধ্যে বি-টেক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ছাত্রছাত্রীই বেশি। ফেসিলিটি ম্যানেজার উচ্চশিক্ষিতদের চাকরি নয়। কিন্তু দেখা যাবে যাঁরা চাকরি পাবেন, তাঁরা সকলে মেধাবী।” ঘটনায় যথেষ্ট হতবাক অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। তিনি বলেন, “এখন অসংখ্য বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সেখানে ভালো খারাপের তফাৎ হচ্ছে না। তাছাড়া, সরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। তবে নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনও মেধাবী ছাত্র এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বাস হচ্ছে না।”

এই ঘটনায় বিজেপি শিবির অবশ্য স্বাস্থ্য ভবনের দুর্নীতির কথাই বলেছে বারবার। তবে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে উচ্চ শিক্ষিত বা কম শিক্ষিত এই মাপকাঠি চোখে পড়ছে না। কারণ প্রতিটি ছেলেমেয়েই বেকারত্বের জ্বালায় জর্জরিত। এবং প্রত্যেকেই চাইছে যে কোন অবস্থাতেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে। একথা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!