পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করছে না, শান্তি রক্ষা করতে আরও সক্রিয় হতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য October 23, 2019 তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এতদিন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করছে না বলে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যেত রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। কিন্তু বরাবরই বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার নিজের মুখেই যেন পুলিশের ভুল-ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিতে দেখা গেল সেই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুলিশ ঠিকমত কাজ করছে না। এসপিরা অফিসে বসে থাকছেন। আইসিরা ব্যালেন্স করছেন। এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।” আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যে এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এদিন উত্তরকন্যা এই প্রশাসনিক বৈঠকে প্রায় প্রতিটি জেলায় নানা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলে জেলা পুলিশকে বিঁধেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “কোচবিহারে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত 247 টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এত অভিযোগ কেন! পুলিশ কি করছে!” অন্যদিকে জলপাইগুড়ি থেকে 158 এবং আলিপুরদুয়ার থেকে এরা এরকমই 148 টি অভিযোগ এসেছে বলেও এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ আমি ডিজির হাতে তুলে দিচ্ছি। কোন ওয়ার্ডে কোথায় কী হয়েছে, কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা বিস্তারিতভাবে দেওয়া আছে। সাত দিনের মধ্যে কেসগুলিকে সর্ট আউট করতে হবে। একজনের জমি অন্যজন দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। কোচবিহারে কিছু মানুষ ঘর চেয়েও পায়নি। এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে মানুষ অভিযোগ জানাতে থানায় আসছে। প্রত্যেক দিন তাদেরকে বলা হচ্ছে, কালকে আসুন। ব্যালেন্স করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু এসপিদের। আর এমন পরিস্থিতির দায়ভার ডিজিকেও নিতে হবে। আপনারা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। দরকার পড়লে এই মিটিংয়ের পর সকলের সঙ্গে বসুন।” আর এরপরই এই তিন জেলার সকল পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে অফিসে বসে নয়, সাধারণ মানুষের সমস্ত অভাব- অভিযোগ শুনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার নিদান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কিছু পুলিশের ওপর তিনি অত্যন্ত ক্ষুন্ন হয়েছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ভালো ফল করার জন্য সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও বিজেপির প্রভাব অনেকটা বেড়েছে, যার ফলে এবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিন জেলার পুলিশ প্রশাসনকে কি ভর্ৎসনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আপনার মতামত জানান -