এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কঠিন নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে এবার পোলিং এজেন্ট নিয়ে অসম্ভব কড়াকড়ি শাসকদলে – জানুন বিস্তারিত

কঠিন নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে এবার পোলিং এজেন্ট নিয়ে অসম্ভব কড়াকড়ি শাসকদলে – জানুন বিস্তারিত

এবারের লোকসভা ভোটে যোগ্যতার মাপকাঠিতে এজেন্টদের নিয়োগ করতে চায় কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল উল্লিখিত যোগ্যতামান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই এবার নির্বাচনী এজেন্টের ছাড়পত্র মিলবে। দলীয় সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,এজেন্টকে ন্যূনতম স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

শারীরিক ভাবে সক্ষম তো থাকতেই হবে,তাছাড়া পেটের রোগ বা ক্রনিক অসুখ থাকলেও তাকে এজেন্টের দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে। এছাড়া এজেন্টকে কোনো নেশায় আশক্ত হলে চলবে না। এমনকি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যেস থাকা ব্যক্তিও এজেন্ট হতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে দলের জেলা নেতাদের দাবী,বুথে বসে এজেন্টদের ঘুমিয়ে পড়ার একাধিক নজির রয়েছে অতীতে। সে কারণেই এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। তাছাড়া নির্বাচনী এজেন্টরা বারবার কাজের ফাঁকে শৌচাগার যাওয়ার ফাঁকে বিরোধীরা ভোট কারচুপি করার সুযোগ পেয়ে যায় বলেই দলের আশঙ্কা। তাই সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এবার পেটের রোগ বা ক্রনিক অসুখে ভুক্তভোগী কোনো মানুষকে এজেন্টের পদে না নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা,এবারের লোকসভা ভোটে বিবিধ কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রটি। তাই বিজেপি যাতে কোনোভাবেই এই কেন্দ্রে পদ্ম ফোটাতে না পারে তার জন্যে আগে থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসক দল। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্ব দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করছে দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লোকসভা নির্বাচনে প্রক্রিয়া জেলা তৃণমূলের লাগাম যাতে তাঁর হাতে থাকে সেজন্যে চেষ্টার কোনো খামতি রাখছেন না তিনি। রবীন্দ্রনাথ বাবুর বক্তব্য,’যোগ্যতা বিচার করে পোলিং এজেন্ট বাছাই করা হবে। স্নাতক হতে হবে, বড় কোনও রোগ থাকলে চলবে না। বয়স চল্লিশের মধ্যে হতে হবে। জেলাগতভাবে আমরা এই পোলিং এজেন্ট বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছি। বাছাইয়ের পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

দলীয় সূত্রের খবর,প্রতিটি বুথের জন্যে চার জন করে নির্বাচনী এজেন্টকে নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা তৈরি হওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হবে। দলের অভিজ্ঞ নেতারা এই প্রশিক্ষণ দেবেন। নির্বাচন কমিশনের নানান বিধি তাঁদেরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রশিক্ষণে ভোট করানোর কৌশল সম্পর্কেও তাঁদের জানানো হবে যাতে বিরোধীদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে নির্বাচনী এজেন্টের টিমকে আরো মজবুত করা যায়। এবারের লোকসভা ভোটকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে শাসকদল।

অন্যদিকে,বাম আমলে বিরোধীদের বেশিরভাই বুথে এজেন্ট দিতে পারত না বলেই জানা গিয়েছে। এবছরও জেলার বহু বুথে বিরোধীরা এজেন্ট দিতে সক্ষম নয় বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে শাসকদলের তরফ থেকে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ লোকসভা ভোট বৈতরনী পেরোতে কতোটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!