এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রায়গঞ্জে জয়ের সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হতেই বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদনপত্র

রায়গঞ্জে জয়ের সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হতেই বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদনপত্র


রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এখনো পর্যন্ত আবেদন পত্র জমা পড়েছে ৪০ জনের। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক যেমন রয়েছেন,তেমনি আইনজীবী,ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

এছাড়া দলের হেভিওয়েট জেলা নেতা থেকে শুরু করে গত পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এছাড়া গত বিধানসভা ভোটে দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন এমন কয়েকজন ব্যক্তিও প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। এসব আবেদনকারীর নাম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌছানোর পর তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে দলের এক সূত্রের খবর,প্রার্থী হতে চেয়ে জেলার হেভিওয়েট কোনো নেতা আবেদনপত্র জমা না করায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছে রাজ্যনেতৃত্ব। রায়গঞ্জ আসনে শেষপর্যন্ত কাকে নির্বাচন করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোন প্রার্থীকে রায়গঞ্জ আসনের জন্যে উপযুক্ত মনে করবে তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে। তবে দলের একাংশ,রায়গঞ্জ আসনের জন্যে হেভিওয়েট কোনো প্রার্থীকে চাইছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের দাবী,উত্তরবঙ্গের আসনগুলোর মধ্যে রায়গঞ্জ আসনটি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী ভোটে দাঁড়ালে জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। গত লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ আসনে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন নিমু ভৌমিক। দলের প্রতি যথেষ্ট কর্মনিষ্ঠ বলেই পরিচিতি রয়েছে তাঁর। তাই এবারও কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়ালে নির্বাচনী লড়াই অনেকটা সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

লোকসভা ভোটে বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে বিজেপি’র জেলা সভাপতি নির্মল দাম জানিয়েছেন,’জেলা থেকে মোট ৪০ জন লোকসভায় প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেন। এরপর কেউ আবেদন করতে চাইলে তাঁকে রাজ্য নেতৃত্ব বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন করতে হবে। রায়গঞ্জ আসনে জেলা থেকে দলের প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও অনেকে আবেদন করেছেন। এই বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যালোচনা করছে। এই ব্যাপারে তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত গণ্য হবে।’

এদিকে,দলের জেলা সভাপতি বদল হওয়ায় নতুন করে জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবার তাঁরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চাইছে। সেই কমিটিতে বেশ কিছু সদস্যের দায়িত্ব পরিবর্তন করার ব্যাপারে আলোচনার জন্যে বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব আগামী ১০ মার্চ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করবে। তবে শেষমেশ দল কাকে ভোটের টিকিট দেবে সেদিকেই নজর রয়েছে জেলা বিজেপি শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!