এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদা লালদুর্গও এখন হয় ঘাসফুল নাহয় পদ্মফুলের রমরমা – পুনর্দখলে বামেদের ভরসা তাজা স্বচ্ছ মুখ

একদা লালদুর্গও এখন হয় ঘাসফুল নাহয় পদ্মফুলের রমরমা – পুনর্দখলে বামেদের ভরসা তাজা স্বচ্ছ মুখ

লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। সাংগঠনিক দূর্বলতা থাকলেও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই বামেরাও। এবার জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে কমবয়সি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একজনকেই প্রার্থী করত ইচ্ছুক সিপিএম। গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বামেরা। ৬৯ হাজার ৬০৬ ভোটের ফারাকে হেরেছিলেন সিপিএম প্রার্থী মহেন্দ্র কুমার রায়।

গতবার নির্বাচনের আগে দলের অনেক কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে চলে যাওয়ায় এরকম অভাবনীয় পরাজয় হয়েছিল বলে দাবী দলের জেলা নেতৃত্বের। তবে দলবিক্ষুদ্ধরা অনেকেই দলে ফিরেছেন বলেও জানিয়েছেন জেলার নেতারা। কাজেই এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল গতবারের থেকে ভালো হবে বলেই আশা রাখছেন তাঁরা। আর জয়ের স্বার্থেই৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি জনপ্রিয় কমবয়সি নেতাকে প্রার্থী করতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য।

প্রাক্তন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে জলপাইগুড়ি জেলা বামেদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল। এমনকি রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরেও ২০১৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলকে টেক্কা দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ দখল করেছিল বামেরা। কিন্তু পরবর্তীকালে বামেদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একে একে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বামেদের সংগঠনে ধ্বস নামে। এর জেরে ধীরে ধীরে জলপাইগুড়িতে শক্তি সঞ্চয় করে তৃণমূল।

শুধু শাসকদল নয়,২০১৮’র পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় ভালো ফল করে বিজেপিও। বামেদের প্রাক্তন অনেক জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল সেসময়। ফলে সাংগঠনিকভাবে বামেরা এতোটাই দূর্বল হয়ে পড়েছিল যে জেলায় ৫০ জন সদস্যও পঞ্চায়েতে তাঁরা নির্বাচিত করতে পারেনি। তাই এবারের লোকসভা ভোটে বামেদের প্রার্থীর কাছে গতবারের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখাটাই বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওদিকে সিপিএম জেলা সম্পাদকের দাবী,লোকসভা নির্বাচনকে টার্গট করে গত মাস থেকেই বুথে বুথে নির্বাচনী সংগঠন গড়ে তোলার যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে ভালোই সাড়া মিলেছে। তৃণমূল এবং বিজেপি যে একই মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ এটা বুঝতে পেরে মানুষ এখন বামেদের সমর্থন করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃদুল দে, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সায়নদ্বীপ মিত্র, শ্রমিক নেতা অনাদি সাউ প্রমুখ নেতৃত্ব এসে একপ্রস্থ জেলায় নির্বাচনী প্রচার সেরে গিয়েছেন। এছাড়া চলতি মাসের শেষে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রচারে আসবেন বলেও জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ১৯ টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি জেলা পরিষদের একটি আসন জয়লাভ করতে না পারলেও পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেকগুলি আসনে জয়ী হয়ে জেলার কিছু কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে ময়নাগুড়িতে জনসভা করে জেলায় বিজেপি সংগঠনকে উজ্জীবিত করে গিয়েছে। এতো বড় জমায়েত জেলায় এখনো বামেরা করতে পারেনি। তাই তৃণমূল এবং বিজেপির মতো সাংগঠনিক শক্তিধর দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএম কতোটা সাফল্য পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!