প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের নজর আরেকটি প্রদেশের বিধানসভার দিকে। সেখানেও হবে নির্বাচন। বাংলাতে ইতিমধ্যেই বিধানসভার নির্বাচনী লড়াই ক্রমশ জমে উঠেছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। কিন্তু এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের আরেকটি প্রদেশের বিধানসভার বেশিরভাগ আসন জেতার টার্গেট নিয়ে বিজেপি এবার ভোটযুদ্ধের আসরে নামতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বাংলার পাশাপাশি বিজেপির নজর এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম বিধানসভায়।

126 টি আসন বিশিষ্ট আসাম বিধানসভায় অবশ্য এখন বিজেপির শাসন। কিন্তু বিজেপি এবার 100 টি আসন জেতার টার্গেট নিয়ে আসরে নামছে। তবে সেক্ষেত্রে প্রবল জল্পনা চলছে, আগামী বছর বিধানসভার নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি বদলাবে নাকি সর্বানন্দ সোনোয়ালই থাকবেন তা নিয়ে। তবে অনেকেই দাবি করছেন, এবার হয়তো হেমন্ত বিশ্বশর্মা আগামী বছর আসামের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হয়ে উঠতে পারেন। কারণ বর্তমানে হেমন্ত বিশ্বশর্মাই হয়ে উঠেছেন বিজেপির কিং মেকার।

এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে গোটা রাজ্যে হেমন্ত বিশ্বশর্মা ঘুরে বেরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে হেমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, পরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর কোনোমতেই লড়বেন না। সেক্ষেত্রে তিনি রাজ্য বিজেপিকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করবেন বলে জানা গেছে। তবে এদিন তিনি পরোক্ষে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি অনেককে।

তিনি লিখেছেন, “অনেকেই আলোচনা করছে আমি পদের লোভে, ব্যক্তিগত স্বার্থের পিছনে দৌড়চ্ছি। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমার একমাত্র লক্ষ্য পরের ভোটে বিজেপিকে 126 টির মধ্যে 100-র বেশি আসনে জয়ী করা। গত কয়েক মাসে আমি রাজ্যবাসীর জন্য যে ভাবে কাজ করতে পেরেছি, তা আমার কাছে শাশ্বত প্রাপ্তি।” অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, আসামের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির কাছে কিন্তু সবথেকে বড় বাধা এনআরসি। সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে আসামবাসীর কাছে গেরুয়া শিবিরের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। সেক্ষেত্রে আবার যোগ হয়েছে সিএএ। অবস্থা আয়ত্তে আনতে হেমন্ত বিশ্বশর্মা কতটা প্রত্যক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন, সেদিকেই কিন্তু চোখ থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।