এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে নিয়ে অস্বস্তির মাঝেই বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের, নন্দীগ্রামে বড়সড় থাবা বসালো বিজেপি

শুভেন্দুকে নিয়ে অস্বস্তির মাঝেই বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের, নন্দীগ্রামে বড়সড় থাবা বসালো বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এককালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বেতাজ বাদশা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত তার কথাতেই এখানকার রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা জুড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়াতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের রাশ ক্রমশ আলগা হতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, এবার শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক তথা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি নন্দীগ্রামে বেশকিছু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্বভাবতই এতদিন নন্দীগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসময় হয়ে থাকলেও, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার সময় হঠাৎ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিজেপিতে যোগদানকে খুব একটা সহজ চোখে নিতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, নন্দীগ্রামে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা সকলেই তৃণমূলের একদম নিচুতলার কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে নীচুতলার কর্মীরা এইভাবে বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল কংগ্রেস এখানে যে অনেকটাই অসুবিধের মুখে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যে নন্দীগ্রামে এতদিন বিরোধীরা মাথা পর্যন্ত তুলতে পারেনি, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার সময় হঠাৎ করে তৃণমূল কর্মীদের এই দলবদল কেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

বলা বাহুল্য, এককালে এই নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরের আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই রাজ্যে ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করেছিল বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে যতদিন গিয়েছে, ততই এখানে প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। নন্দীগ্রামের মত এলাকায় এককালে বামেদের প্রভাব বেশি থাকলেও, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এখানে তৃণমূলের বিজয়পতাকা উড়তে শুরু করেছিল। যতদিন গিয়েছিল, ততই তৃণমূল এখানে শক্তিশালী হতে শুরু করে। আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক প্রতিপত্তি দেখে গোটা রাজ্যজুড়ে তার প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

যেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় মুশকিল আসান হতে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েই এখন জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না পাওয়ার কারণে শুভেন্দুবাবু দূরত্ব অবলম্বন করছেন বলে দাবি করছে একাংশ।

এমত পরিস্থিতিতে তার দলবদলের জল্পনাও তীব্র হয়েছে। তাই এই অবস্থায় এতদিন নন্দীগ্রামে বিরোধীরা মাথা তুলতে না পারলেও, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মুহূর্তে কেন দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে এখানে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, তাহলে কি নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক ক্ষমতা এতদিন যাদের হাতে ছিল, তাদের রং পরিবর্তন করার কাজ শুরু হয়ে গেল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলার মুহূর্তে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যেভাবে বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাতে কি শুভেন্দুবাবু এখন গেরুয়া শিবিরের পথে! তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপির তরফে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই একটি সভায় শুভেন্দুবাবু স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন এবং রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য।

তবে নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক যে তিনি নন, তাও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভবিষ্যতে কি করবেন, তা বড় মাপের প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কর্মসূচি তৃণমূলকে ব্যাপকভাবে চিন্তায় ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!