এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মমতার প্রকল্প কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? আগ্রহ কম, জেলার তথ্যে উড়েছে ঘুম!

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মমতার প্রকল্প কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? আগ্রহ কম, জেলার তথ্যে উড়েছে ঘুম!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার কারণে দেশজুড়ে লকডাউনের সময় এ রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। এই পরিচয় শ্রমিকদের রাজ্যে কাজ দেবার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।

মুর্শিদাবাদ জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দিতে রাজ্য সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পতে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলা ও কলকাতার অনলাইন, অফলাইন বিভিন্ন সংস্থায় কাজ জুগিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। এজন্যে এই জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করে তাদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু জেলার অধিকাংশ স্থান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কাজে যোগদানের ব্যাপারে তেমন কোনো উৎসাহ উৎসাহ লক্ষ করা যায় নি। সরকারের এই উদ্যোগে তাদের উৎসাহের একান্ত অভাব লক্ষ করা গেল। এই জেলার ভগবানগোলা ১ থেকে মাত্র ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক এ বিষয়ে উৎসাহ দেখালেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানালেন না।

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই জেলার বিভিন্ন ব্লকে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পর দ্বারা অনলাইন, অফলাইন বিভিন্ন সংস্থার কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ দেখতে পাওয়া যায়নি। কয়েকমাস আগে পরিযায়ী শ্রমিকেরা যখন বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। সেসময় তাদের একটি তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রথম তাদের ১০০ দিনের কাজে যোগদান করিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এরপর জেলা প্রশাসন তাদের অনলাইন, অফলাইন কাজে যোগদান করাবার সিদ্ধান্ত নেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে গতকাল রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর জানিয়েছেন যে, পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছিলেন, তখন সমগ্র জেলায় তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরপর সেই তালিকা ব্লক স্তরে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ব্লক অফিস থেকে অনলাইন, অফলাইন শপ এ যোগদানের যোগ্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। গত ১০ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজে যোগ দিতে আগ্রহী শ্রমিকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করারও কথা ছিল। শ্রমিকদের বলা হয়েছিল, কলকাতায় গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে বিভিন্ন কাজে যোগদান করতে।

তবে, সরকাররের এই উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ চোখে পড়েনি। তাদের বক্তব্য, সরকারের তরফ থেকে তাদের যে বেতনের কথা জানানো হয়েছে তার চেয়ে বাইরে থেকে তারা অনেক বেশী রোজগার করতে পারবেন। অন্য রাজ্য থেকে তারা মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন। যা এখানে থেকে সম্ভব নয়। গতকাল এ প্রসঙ্গে ভগবানগোলা-১ ব্লকের জনৈক পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তার শেখ জানালেন, ” যে টাকা বেতন পাব, সেই টাকার থেকে ভিন রাজ্যে কাজের টাকা অনেক বেশি। কাজেই ওই কাজে আমি যেতে রাজি নই।”

মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই কাজে যাতে পরিযায়ীরা উৎসাহী হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।’’ পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারি প্রকল্পে যোগদানের এই অনীহা সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের জনৈক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ভিন রাজ্যেই ফিরে যাবেন।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!