এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের নতুন স্ট্র্যাটেজিতে ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরেই! বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা নেবেন বড়সড় পদক্ষেপ?

পিকের নতুন স্ট্র্যাটেজিতে ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরেই! বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা নেবেন বড়সড় পদক্ষেপ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই দলের তরফে যারা দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দলের দুর্নীতি রোখার চেষ্টায় এখন রদবদলের জন্য তৃণমূলকে বার্তা দিচ্ছেন দলের রাজনৈতিক রননীতিকার প্রশান্ত কিশোর। দুর্নীতিতে জড়িতদের বদলে স্বচ্ছ মুখ যাতে নেতৃত্ব স্থানে আনা হয়, তার জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিচ্ছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করায় এবার সেই সমস্ত নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে মনে করছে একাংশ।

ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে বিভিন্ন জেলায় সমীক্ষা করে তৃণমূলের হাতে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলায় রদবদল শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলাতেই চলতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল।

আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে রদবদল করা হচ্ছে এবং যেভাবে দায়িত্বে থাকা নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে সেই সমস্ত নেতারা এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করছেন অনেকে। আর যদি তা হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বড়সড় অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের এই ফরমুলা যদি দল মানতে শুরু করে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা বাড়বে। কারণ অতীতে যারা দায়িত্ব সামলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে।শুধু তাই নয়, বিজেপিকে সরাতে গেলে শুধু স্বচ্ছ মুখ এনে কিছু হবে না। সাহসী নেতা প্রয়োজন। তাই অতীতের সেই সমস্ত মুখে যদি এভাবে সরাতে শুরু করে দল, তাহলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যাবে বলেই দাবি একাংশের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল তাদের ভালোর জন্যই এখন স্বচ্ছ মুখ নিয়ে এসে নেতৃত্বস্থানে বসিয়ে মানুষের কাছে নিজেদের অবস্থান ভালো করতে চাইছে। কিন্তু এতে জনমানসে তৃণমূলের ভাবমূর্তি কিছুটা ভালো হলেও, দলীয় স্তরে যে তৃণমূলকে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হবে, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

কেননা যারা পদ থেকে সরে যাচ্ছেন, তারা ধীরে ধীরে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠবেন। আর তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে, তারা যে বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই। আর যদি তা হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দলকে এই সাংগঠনিক বদল আনতে গিয়ে দলীয় স্তরে চরম বিপাকে পড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে তৃণমূল বিক্ষুব্ধদের মানাতে উদ্যত হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!