এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ধর্ণা মঞ্চে বদলার সুর, কুনালের মন্তব্যে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!

মমতার ধর্ণা মঞ্চে বদলার সুর, কুনালের মন্তব্যে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-চুরি করার পরেও কি করে তৃণমূল নেতারা এত বড় বড় কথা বলেন, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। এদের লজ্জা শরম বলতে সত্যিই কিছু নেই। তা না হলে যে বিষয় নিয়ে তারা রেড রোডে ধরনা করছেন, সেই বিষয় নিয়ে ধর্না তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র কথা বলতে পারতেন না। কিন্তু তারপরেও নির্লজ্জের মত চুরি করার পরেও, কেন্দ্রকে হিসাব না দিয়ে রেড রোডে ধর্ণার নামে নাটক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা কর্মীরা। আর সেই ধর্না মঞ্চ থেকেই এবার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রতিহিংসার সুর শোনা গেল তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষের গলায়।

অনেকে বলছেন, সাড়ে তিন বছর জেল খাটা একজন আসামী এই ধরনের কথা বলবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। তার কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কোনো রুচিসম্মত বক্তব্য তো আশা করা যায় না। কিন্তু এখন আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূলকে দেখে ভয় পায় না। তাই তৃণমূল নেতা যতই বড় বড় আওয়াজ দিন না কেন, এবার মানুষ ইটের ঘা খেলে পাটকেল দিয়ে জবাব দিতে তৈরি বলেই দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন বলেছেন কুনাল ঘোষ! যা নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছে!

প্রসঙ্গত দুদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝর্ণা মঞ্চের নাটক করার পর এদিন দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসকে সেখানে কর্মসূচি করার পরপর একের পর এক তৃণমূলের শাখা সংগঠন সেখানে তাদের কর্মসূচি করবে। আর সেই কর্মসূচিতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বদলার সুর শোনা যায় তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষের গলায়। তিনি বলার চেষ্টা করেন, বিরোধীরা লাগাতার কুৎসা করছে, তাই এবার দলীয় নেতৃত্ব আমাদের অনুমতি দিক। তাহলে আর রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়, ডিজে কি করে বাজাতে হয়, আমরা বুঝিয়ে দেব। আর এখানেই প্রশ্ন যে, ধর্ণা মঞ্চে কি প্রতিহিংসার কথা বলার জন্যই নেতাদের প্রশিক্ষিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর যে ডিজে বাজানোর কথা বলছেন, তা তো তৃণমূল এই গোটা রাজ্যজুড়েই প্রতিমুহূর্তেই বাজায়। তা না হলে শুধুমাত্র বিরোধী নেতা কর্মীদেরকে কেস দেওয়া হয় কেন? তাদের বাড়িতে হামলা হয় কেন? কেন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া হতে হয়েছে! কেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জন্য হামলার শিকার হয়েছেন একের পর এক বিরোধী কর্মীরা! সেই প্রশ্নের জবাব কি দিতে পারবেন বড় বড় গলায় কথা বলা সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা তৃণমূলের মুখপাত্র? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, গণতন্ত্রে শাসককে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়। কিন্তু এই রাজ্যের শাসক দল সম্পূর্ণরূপে ফ্যাসিস্ট। তারা গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। তারা সব সময় চায় যে, সবাই তাদের পক্ষে থাকবে। কিন্তু এসব করে তারা অন্য দলকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু বিজেপি চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে জন্যেই সেটা সহ্য হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের। তাদের চুরি ধরা পড়ে যাচ্ছে বলেই এখন তারা আবার একটা ধর্ণা মঞ্চ থেকে প্রতিহিংসার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। আর এর প্রভাবে যদি কোনো জায়গায় বিরোধী নেতা কর্মীদের ওপর হামলা হয়, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকতে হবে এই তৃণমূল নেতাকে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এক ঝাড়ে তো আলাদা বাঁশ হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সৃষ্টি, যে সংস্কৃতি এই পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করেছেন, তা ধ্বংসের। তাই তার দলের নেতাদের মধ্যেও এখন কম্পিটিশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। কে কত বেশি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কু কথা বলতে পারে, কে কত বেশি বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার কথা বলতে পারে, সেটাই ধর্না মঞ্চে বলতে গিয়ে নিজে আরও বেশি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করেছেন কুনাল ঘোষ। কারণ যুবরাজের লবির হওয়ার কারনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও হয়ত তার দূরত্ব বেড়েছে। তাই এখন নেত্রীর কথা মতো সবকিছু হচ্ছে বুঝেই ধর্না মঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন একটি কথা বললেন এই তৃণমূল নেতা, যার ফলে বিতর্ক বেড়েছে। যদিও বা এতে তার কিছু এসে যায় না। কারণ তিনি বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে চান দলের মধ্যে। কারণ তাকে কেউ পাত্তা দেয় না। তাই বিরোধীদের কুকথা বলে কর্মীদের প্ররোচিত করে এই রাজ্যকে আবার একটা অশান্তির মুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!