রাজ্যে ফের বাড়ছে ঋণের বোঝা, লোন নিচ্ছে মমতা সরকার! গোপন খবর ফাঁস করলেন শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 5, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যে রাজ্যে টাকা নেই বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে রাজ্য বঞ্চিত বলে দাবি করেন তিনি, সেখানে এত জনদরদী ঘোষণা কি করে করলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? ধর্না দেওয়ার মঞ্চে তিনি হঠাৎ করেই ঘোষণা করলেন যে, 21 ফেব্রুয়ারি তিনি 21 লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, যারা একশো দিনের কাজের টাকা পাননি, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবেন! ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে তার মাঝেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গোপন তথ্য ফাঁস করলেন। কিভাবে এই রাজ্যকে ফের সর্বনাশের মুখে ফেলে দিয়ে ফের ঋণের বোঝা বাড়িয়ে একটা ভয়ংকর কাজ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পর্দাফাঁস করে দিলেন তিনি। আসলে শুভেন্দুবাবু এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে, তার কাছে এই সরকার যে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেই সব খবর চলে আসে। কোনোভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী আটকাতে পারছেন না। তাই এবার একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন, তারপরেই সেই শুভেন্দুবাবুর কাছে বড় তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। আর অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে পাওয়া সেই তথ্যকে হাতিয়ার করেই এবার এই রাজ্য সরকার রাজ্যের মানুষকে কতটা ঋণের বোঝার মধ্যে ফেলতে চলেছেন, তার তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরে চমকে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কি এমন বললেন বিরোধী দলনেতা! এমন কি করতে চলেছে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার, যার ফলে আবার বাড়তে চলেছে ঋণের বোঝা? প্রসঙ্গত, বাংলাকে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। ইতিমধ্যেই রেড রোডে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই ধর্না কর্মসূচি থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী 21 ফেব্রুয়ারি যে 21 লক্ষ শ্রমিক ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি, তাদের অ্যাকাউন্টে তার সরকার নাকি টাকা পৌঁছে দেবে! আর এখানেই প্রশ্ন যে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোষাগারে টাকা নেই বলে তিনি দাবি করেন, যিনি ডিএ দিতে পারেন না সরকারি কর্মচারীদের, তিনি এত টাকা কি করে দেবেন? তবে অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি গোপন খবর আসার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক ভয়ংকর দাবি করলেন। তার স্পষ্ট বক্তব্য যে, কিছুদিনের মধ্যেই অর্থ দপ্তরকে 7 হাজার কোটি টাকার লোন নিতে বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ এর ফলে রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা আরও বাড়বে। আর এই বিরাট অঙ্কের টাকা লোন নিয়ে তিনি এই সমস্ত টাকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর যদি এই কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এই রাজ্যের কত বড় সর্বনাশ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র কিছু মানুষের মন পাওয়ার জন্য এবং নিজের প্রচার পাওয়ার জন্য তিনি এই রাজ্যের মানুষের সর্বনাশ করছেন। কেন্দ্র থেকে এতদিন যে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই টাকা এই রাজ্য সরকার চুরি করেছে। তাই তারা হিসাব দিতে পারছে না। যার ফলে কেন্দ্র টাকা দেবে না, এটা বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখন আবার একটা বিপুল অংকের লোন নিয়ে তিনি এই রাজ্যের মানুষের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে নিজে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই এই ধরনের সর্বনাশা সরকারকে অবিলম্বে বিদায় দিতে হবে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। তা না হলে রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে চলে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের প্রচার পেতে রাজ্যের সর্বনাশ হচ্ছে হোক, কিন্তু খবরের শিরোনামে থাকতে সবকিছু করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যে বা যারাই এই তথ্য পৌঁছে দিক না কেন, তা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এই রাজ্যের কোষাগার এখন একেবারেই শূন্য। তাই বাজার থেকে লোন নেওয়া ছাড়া এই সরকারের কাছে আর কোনো উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই নিজেদের প্রচার পাওয়ার জন্য আরও বেশি করে দেনা তৈরি করে দিয়ে রাজ্যকে রসাতলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেরা চুরি করে রাজ্যকে শেষ করে দেবেন, কেন্দ্র যখন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেবে, তখন নিজেদের গরিবদরদী ভাবমূর্তি সামনে এনে আবার একটা 7 হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে রাজ্যের পরবর্তী প্রজন্মকে রীতিমতো ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রীর। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -