এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলেজে ভর্তিতে ‘দুর্নীতি’ রুখতে এবার বিশেষ সরকারি পদক্ষেপের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

কলেজে ভর্তিতে ‘দুর্নীতি’ রুখতে এবার বিশেষ সরকারি পদক্ষেপের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর


অতীতে কলেজগুলোতে ভর্তির সময় ছাত্রনেতাদের বাড়বাড়ন্ত এবং তাকে কেন্দ্র করে অনার্স বিক্রির ঘটনা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু তা আর যাতে না হয়, তার জন্য গত বছরই ভর্তির সময় দুর্নীতি কমাতে বিভিন্ন কলেজে কলেজে হানা দিতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

তবে এবার সেই ব্যাপারে প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। কোনোরকম দুর্নীতিকে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। তাই বুধবার এই ব্যাপারে এক নতুন সরকারি পদক্ষেপের কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “কলেজে ভর্তির অনলাইন ফর্ম পূরণের জন্য সরকারি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। পড়ুয়ারা এখানে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন নিখরচায়।”

আর শিক্ষামন্ত্রীর এই কোথায় ভর্তির সময় দুর্নীতি রুখতেই এই ধরনের পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে এরকম ধারণা করা হলেও শিক্ষামন্ত্রী এই ব্যাপারে অন্য যুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সাহায্য করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলেজে প্রথমবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু হতেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সাইবার কাফেতে ফর্ম পূরণ করা হয় বলে পোস্টার দেওয়া হয়। যার বিনিময় টাকা নেওয়া হয়। কোথাও বা আবার পৃথক হেল্প সেন্টার খুলেও ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করা হয়। বছরের পর বছর ধরে তা চলে আসলেও এমন সব হেল্প সেন্টার যাতে না হয়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছিল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর এবার সরকার নিজেই এই রকম কেন্দ্র খুলে অনলাইনে ভর্তির ফর্ম পূরণে পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আর্থিক ব্যাপার যেমন আছে, তেমনই এই সব কেন্দ্রে অনেক সময় প্রার্থীদের ফর্ম পূরণ করে দেন হেল্প ডেস্ক অথবা কাফের কর্মীরা। তাতে ভুল একটা কিছু হয়ে গেলেই ওই পড়ুয়ার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়। তা যাতে না হয়, তার জন্য সরকারের তরফে এই কেন্দ্র খোলা হবে।” কিন্তু কোথায় এবং কটা করে এই রকম কেন্দ্র হবে, সেই ব্যাপারে অবশ্য এদিন স্পষ্ট করে কিছু জানাননি শিক্ষামন্ত্রী।

জানা যায়, এদিন সরকারি সমস্ত নির্দেশের সঙ্কলন নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, সঠিক বিজ্ঞপ্তি পেশ না করার জন্য বিভিন্ন মামলায় সরকারের হার হয়েছে। একাধিক বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জেনেছি। আগে তো এসবের কোনও সুযোগ ছিল না। এবার সমস্ত বিজ্ঞপ্তি একত্রিত করে তা বই করে রাখা হল। যখন যেমন প্রয়োজন হবে, সেইভাবে ব্যবহার করা হবে।”

অন্যদিকে পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে আধিকারিকরা যাতে আরও মানবিকভাবে দেখেন, তারও আবেদন জানান মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এদিনের এই অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপের পোর্টালেরও সূচনা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মূলত এই পোর্টালের ওটিপির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন, এমফিল-পিএইচডি প্রার্থীদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা থাকবে। তার সঙ্গে কোনও প্রার্থীর যদি অভিযোগ থাকে, তাও পোর্টালে জানানোর সংস্থান হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!