এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভেড়ির দখলে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানির অভিযোগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উত্তাল শাসকদলের অন্দরমহল

ভেড়ির দখলে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানির অভিযোগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উত্তাল শাসকদলের অন্দরমহল

কথায় আছে, অর্থই অনর্থের ঘটায়। হয়ত বা রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও সেই অর্থই বর্তমানে অনর্থ ঘটাতে শুরু করেছে। দলীয় স্তরে কাটমানি নেওয়ার ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে দিলেও সেই ব্যাপারে যে এখনও তৃণমূলের নিচুস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় ঘটেনি, তা ফের প্রমাণিত হতে শুরু করল।

এবার শাসনে ভেড়ির লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র আকার নিল। প্রসঙ্গত, বারাসাত 2 ব্লকের শাসন সহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকায় মাছের ভেড়ির দখল নিয়ে শাসকদলের কোন্দল প্রায় সকলেরই জানা। আর এই ভেড়ির প্রচুর পরিমাণে কাঠমানি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মাঝেমধ্যেই অশান্তির মেঘ দেখা যেত।

সূত্রের খবর, বুধবার সকালে শাসন সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বারাসাত 2 পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এবং এক জেলা পরিষদের সদস্যের নামে ভেড়ির কাটমানির পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। যুব তৃনমূলের নামে পড়া সেই পোস্টার ঘিরেই এখন এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন বারাসাত 2 পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ইফতিকার উদ্দিন এবং জেলা পরিষদের সদস্য মতিয়ার সাপুইয়ের নামে এই কাঠমানি নেওয়ার অভিযোগে পোস্টার পড়েছে। আর তা নিয়েই তৃণমূলের ভেতরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

 

যদিও বা এই প্রসঙ্গে যাদের নাম এই পোস্টার পড়েছে, তারা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিন এই ব্যাপারে বারাসাত টু পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ইফতিকার উদ্দিন বলেন, “এই অভিযোগের কোন সারবত্তা নেই। যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারত। দলকে সামনে রেখে এলাকার কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চেয়েছেন। তাদের সমস্ত দুর্নীতি আটকে দেওয়া হয়েছে। তাই ব্যক্তি আক্রোশ মেটাতেই তারা এসব করছেন।”

অন্যদিকে একইভাবে মতিয়ার সাপুই বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। চরম দুর্নীতির কারণে গত 2012 সালে দলের কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। হয়ত তারাই আক্রোশবশত এইসব পোস্টার লাগাচ্ছে।” কিন্তু ‌ তাহলে কি তাদের নামে পড়া পোস্টার সত্যিই ভিত্তিহীন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বারাসাত 2 ব্লকের তৃণমূল যুব সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি মল্লিক বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যুব তৃনমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। দল তদন্ত করে দেখবে এই বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।” সব মিলিয়ে এবার ভেড়ির লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে পোস্টার পড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে উঠে আসতে শুরু করল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!