এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় পরিবর্তন শাসকদলে! অস্বস্তি-বিতর্ক এড়াতে ত্রাণবিলি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশিকা

বড়সড় পরিবর্তন শাসকদলে! অস্বস্তি-বিতর্ক এড়াতে ত্রাণবিলি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশিকা


করোনা হোক বা আমপান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য রাস্তায় নামতে দেখা গেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ দিতে গেলেও তাদের পুলিশ আটকে দিচ্ছে। কিন্তু শাসকদলের নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ত্রাণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে বরাবরই শাসকদলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের তোলা সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

যা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক তরজাও লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি অস্বস্তিতেও পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। আর এমতাবস্তায় এবার ত্রাণ নিয়ে যাতে দলের কোনো নেতাকর্মী রাস্তায় না নামেন, তার জন্য কড়া বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দলের সমস্ত জেলা সভাপতি, বিধায়ক সহ একাধিক পদাধিকারীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মত শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেখানেই বিভিন্ন জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে ত্রাণ দেওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, প্রত্যেকেই জেলা নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, “ত্রাণ নিয়ে দলের কারও নাক গলানো যাবে না। যা হবে সমস্তটাই সরকারি স্তরে হবে। দলগতভাবে কোনো ত্রাণ দেওয়া যাবে না। এমনকি সরকারি কাজে কোনো মাতব্বরি করাও চলবে না।” আর জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের এই বার্তা এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ত্রাণ দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। যেখানে বিরোধীরা ত্রাণ দিতে পারছে না, সেখানে কেন তৃণমূলের অনেক নেতা ত্রাণ দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, রেশনের দুর্নীতি নিয়ে অনেক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। তাই এমতাবস্তায় দলের কোনো নেতা যাতে এই ত্রাণ পর্বে সামিল না হয়, তার জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে দেওয়া হল।

অর্থাৎ বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যাতে নতুন করে কোনো ব্যাপারকে ইস্যু করে শাসক দলকে চেপে ধরতে না পারে, তার জন্যই দল অপেক্ষা সরকারের ত্রাণ পর্বেই সকলকে আস্থা রাখার কথা বলল তৃণমূল নেতৃত্ব। বিরোধীদের দাবি, আসলে তৃনমূল কংগ্রেস এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে। দলের অনেকে নেতাদের কথা শুনছে না। তাই অনেকেই ত্রাণ দিতে বেরিয়ে পড়ছে।

বিরোধীদের আরও দাবি, আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি ধরা পড়ছে এবং সেখানে তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। আর তাই গোটা ব্যাপারটিকে আড়াল করতে এখন তৃণমূল নেতাদের ত্রাণ পর্ব বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ তৃণমূলের কুকীর্তি ধরে ফেলেছে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে একথা বলা হলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসকদল অত্যন্ত সচেতন ভাবেই দলের অস্বস্তি ঢাকতে দলের নেতা-কর্মীদের এই ধরনের কড়া বার্তা দিয়েছেন।

কিন্তু অতীতেও এরকম নানা বার্তা দিতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তা সত্ত্বেও দলের অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এবার তৃণমূল নেতৃত্ব দলের নেতাকর্মীদের ত্রাণ পর্ব বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও, নিচুতলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা তা কতটা মান্যতা দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের এই নতুন সিদ্ধান্তে একটা জিনিস স্পষ্ট, করোনা-আমপানের দুর্দিনে ত্রাণবিলি করে সাধারনের মন জয়ের থেকে, শাসকদলের অস্বস্তিই বেশি বেড়েছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!