এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কর্মীসভায় গরহাজির প্রাক্তন মন্ত্রী! প্রসঙ্গ উঠতেই হাতজোড় করে জল্পনা বাড়ালেন শুভেন্দু

কর্মীসভায় গরহাজির প্রাক্তন মন্ত্রী! প্রসঙ্গ উঠতেই হাতজোড় করে জল্পনা বাড়ালেন শুভেন্দু


পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল পাঞ্জিপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এসবের অনেক আগেই তার গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে। কেননা শুভেন্দু অধিকারী এই সভায় উপস্থিত থাকলেও তিনি সভার ব্যাপারে কিছুই জানেন না এবং তিনি এই সভায় উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইসলামপুরে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

তবে শেষপর্যন্ত করিম সাহেব এই সভায় উপস্থিত থাকেন কিনা, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। তবে না, যা কথা বললেন, তা পরতে পরতে পালন করলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী সভা করলেও সেই মঞ্চে জেলা তৃণমূলের প্রায় প্রত্যেকটি নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের দেখা যাওয়া সত্ত্বেও দেখা মিলল না আব্দুল করিম চৌধুরীর। কিন্তু কেন আসলেন না করিম চৌধুরী! এদিন এই প্রসঙ্গ তুলতেই হাতজোড় করে চলে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

জানা যায়, বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ায় রেগুলেটেড মার্কেট চত্বরে তৃনমূলের কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি তাঁর বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টিকারী ইসলাপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।

গোটা সভায় এনআরসি আর দেশের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন। তবে এদিনের এই সভা শেষে তাঁর কাছে এদিনের সভায় করিম সাহেবের গরহাজিরা নিয়ে প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি মুখে একটি কথাও না বলে করজোড়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। আর এই ঘটনা নিয়েই এবার গুঞ্জন শুরু হয়েছে ইসলামপুরের রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দুবাবুর এদিনের কর্মিসভার দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই করিম সাহেব সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন যে, তিনি এই সভায় আসবেন না। পরে সভার আগের দিনও তিনি বিতর্ক উসকে দিয়ে জানান, তাঁকে সভার জন্য আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করেন। নবাগতরা দলকে অন্যভাবে পরিচালনা করছেন। এসব নানা বিতর্কিত প্রসঙ্গও তোলেন। এবং নিজের ঘোষণামতো এদিন শুভেন্দুবাবুর সভায় জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকলেও শুধু অনুপস্থিত ছিলেন করিম সাহেব।এমনকি দলে তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ইসলামপুর টাউন তৃণমূলের সভাপতি গঙ্গেশ দে সরকারও এই সভায় উপস্থিত হননি। আর তা থেকেই করিম-কানাইয়ার দ্বন্দ্বেরই ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, এদিনের এই সভায় উপস্থিত হয়ে শুভেন্দুবাবু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বিজেপিকে তুলোধোনা করে বলেন, “এনআরসির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আমরা পূরণ করব। অসমে কী হয়েছে? ১৯ লক্ষ মানুষের নাম, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন চিফ মিনিস্টারের পরিবারের নাম বাদ গিয়েছে। আমাদের লিডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন। আমরা তৃণমূল সরকার। এই রাজ্যে এনআরসি চলবে না। আমরা বিধানসভায় রেজ্যুলিউশন নিয়েছি সব পার্টি একসঙ্গে মিলে তা পাশ করেছি। যতদিন মমতা দিদির সরকার আছে ততদিন এনআরসি লাগু হবে না। এনআরসির বিরুদ্ধে সারা দেশে মমতার নেতৃত্বে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র নেত্রী, যাকে কোনও কিছু দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি বিজেপি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি, করব। শারদ উৎসবের পরে এনআরসি নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি আমরা করব।”

তবে শাসক দলের নেতা বিরোধীদলকে কটাক্ষ করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজের দলের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী জেলা পর্যবেক্ষকের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত না হওয়ায় যখন জল্পনা বাড়ছে, ঠিক তখনই সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করায় শুভেন্দুবাবু হাতজোড় করে চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!