এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বঙ্গ-বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ হয়ে লক্ষণের পর দল ছাড়ার ভাবনায় আর এক হেভিওয়েট নেতা

বঙ্গ-বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ হয়ে লক্ষণের পর দল ছাড়ার ভাবনায় আর এক হেভিওয়েট নেতা


মাত্র ২ দিন আগেই দল ছেড়েছেন লক্ষণ শেঠ। এবার চন্দ্র বসু রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতাদের দক্ষতা নিয়ে আগে বহুবার প্রশ্ন তুললেও এবার একধাপ এগিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ মুকুল রায়দের প্রতি। রাজ্য বিজেপির ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখেই আশাহত হয়ে পড়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি। তারপরই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মন্তব্যে জানালেন, প্রয়োজনে বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবেন না তিনি। উল্লেখ্য,বিজেপির দলীয় অন্দরের মতানৈক্য নিয়ে নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের এই ভ্রাতুষ্পুত্র একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। দলবিরোধী এই উক্তি শুনে রাজ্যবিজেপির নেতারাও মোদীজি-অমিত শাহের কাছে চন্দ্র বসুর নামে নালিশ জানিয়েছিলেন। তারপরই দলীয় অন্দরে এ নিয়ে বেশ জল্পনা চলছিল।

এরপর এদিন দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বসু পরিবারের এই সদস্য উপস্থিত না হয়ে জল্পনাতে আরো ইন্ধন জোগালেন। কেন দলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না এ প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিলেন তিনি। জানালেন,’এই ধরনের বৈঠকে স্ট্যাচু হয়ে বসে থাকার জন বিজেপিতে যোগ দেইনি।’ তাঁর অভিযোগ,এধরনের বৈঠকে উল্লেখযোগ্য কিছু আলোচনা হয়না। তাঁছাড়া রাজ্যবিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নিয়েই এতো ব্যস্ত যে লোকসভা ভোট নিয়ে ভাববার তাঁদের সময় নেই। দিলীপ ঘোষ,রাহুল সিনহা,মুকুল রায়,আশিস সরকারের মতো প্রভাবশালী বিজেপি নেতাদের একাধিক গোষ্ঠী তৈরি হয়ে আছে বলেই দাবী তাঁর। এভাবে কর্মসূচি এগোলে এবার লোকসভা ভোট কেন আগামী ৩০ বছরেও জোড়াফুল উপড়ে ফেলা যাবে না বাংলার মাটি থেকে।

দলের একটি শীর্ষ পদে থেকেও যেভাবে চন্দ্রবসু সোশ্যাল মিডিয়াতে দলবিরোধী বার্তা ছড়াচ্ছেন, তার জন্য চন্দ্রবসুর কড়া শাস্তি হওয়া উচিৎ বলেই মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য কমিটির একজন নেতা। এভাবে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়ানোকে শৃঙ্খলাভঙ্গের নামান্তর বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। কেন্দ্র থেকে চন্দ্র বসুর মন্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রের ইচ্ছানুযায়ীই কাজ হচ্ছে বলে জানালেন এই নেতা। এরসঙ্গে জুড়ে তিনি তুলে ধরলেন ২০১৬ সালের একটি ঘটনার কথা। দুবছর আগে একটি সভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতেই চন্দ্র বসু বামেদের ভোট দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়,পঞ্চায়েত নির্বাচনের কঠিন লড়াই হোক বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চন্দ্র বসুর টিকিটি খুঁজে পাওয়া যায় না কখনো। তিনি শুধু স্যোশাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে দলের অপপ্রচার করতেই ওস্তাদ। এসব যুক্তি দেখিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজির ভাইপোকে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার পরামর্শ দিলেন এই নেতা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর পাল্টা জবাবও এসেছে চন্দ্র বসুর তরফ থেকে। আজ তাকে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্যে আক্রমণ করা হচ্ছে অথচ কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরপ্পাকে ‘চরম দুর্নীতিগ্রস্থ’ বলে ব্যাখ্যা করে এসেছিলেন খোদ সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেরকম তিনিও ভুলবশত সিপিএমকে ভোট দেওয়ার কথা বলে ফেলেছিলেন। এই ভুল টাকে এতো হাইলাইট করার মানে কী? প্রশ্ন চন্দ্র বসুর। অন্যদিকে,অভিযোগে জানান,কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি তাকে কাজ লাগায় না। তাঁর মতামত,পরামর্শের কোনো গুরুত্বই নেই গেরুয়াশিবির কর্তাদের কাছে। চন্দ্র বসুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা তবে কি এবার দল ছিড়তে চলেছেন চন্দ্র বসু ?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!