তৃণমূলে যাচ্ছেন লক্ষণ শেঠ,শাসকদলের হেভিওয়েটের সাথে যোগাযোগ রাজ্য September 18, 2018 হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠ দল ছেড়েছেন। একসময় সিপিএম থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর বিজেপিতে মাথা গুজেছিলেন তিনি। কিন্তু গেরুয়াশিবিরে সেরকম উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়,তাকে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক ছিল বিজেপির অন্দরেই। এমনকী রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা তাকে সেভাবে পছন্দ করতেন না,এমনটাই জানা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরের খবর থেকে। নন্দীগ্রাম গণহত্যার জন্য বামেরা তাকে খলনায়ক বানিয়ে দলছাড়া তো করেইছিল, এমনকি যে দলে তিনি ঠাঁই নিয়েছিলেন সেই বিজেপিও তাকে নন্দীগ্রাম কান্ডের জন্য প্রকাশ্যে দায়ী করেছিল। এমতাবস্থায় রাজনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে তিনি এবার নিজের জায়গা খুঁজছেন অন্য কোনো দলে। বিজেপিতে কোনঠাসা হওয়ার পর তিনি চেয়েছিলেন শাসকদলে মাথা গুজতে। কারণ তিনি জানেন মজবুত সংগঠনের দিক থেকে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই এ রাজ্যে। সেকারণে তিনি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন বলে দাবি তুলেছেন যখন শেঠের ঘনিষ্ঠ মহল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু তৃণমূল তাকে বিশেষ পাত্তা না দেওয়াতে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁর বিশেষ দূর্বলতা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে লক্ষণ শেঠকে দলে আশ্রয় দেবেন কিনা সেটা নিয়ে এখনো প্রদেশ কংগ্রেস কোনো সিদ্ধান্ত নেননি,এমনটা জানা যাচ্ছে লক্ষণ শেঠের ঘনিষ্টমহল থেকে। তবে দলবদলের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, মানুষের জন্য উন্নয়ণ করতে হলে এখন তৃণমূলের হাত ধরা ছাড়া উপায় নেই। সেজন্যেই তিনি একসময়ের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আপাতত লক্ষণ শেঠের কংগ্রেসে ঠাঁই মেলে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। আপনার মতামত জানান -