তৃনমূল করলেই কামাই, বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! চরম বিড়ম্বনায় মমতা! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 4, 2024February 4, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যারা তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন, তারা সকলেই চুরি, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেতারা সকলেই চুরি করছেন। তাদের চুরি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, ভবিষ্যতে আরও অনেকেই জেলে যাবেন। তবে বিরোধীদের এই অভিযোগ এবার হয়ত সত্যি হতে চলেছে। তা না হলে তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য এমন কথা বলতে পারতেন না। তিনি এমন এক কথা বলেছেন, যার পর প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই কি তৃণমূল এখন কামাই করার একটা রাস্তা! এটা কি সত্যিই কোনো দল নয়! একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে! এদিন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র যে কথা বললেন, তারপর রীতিমত অস্বস্তি তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক, যা নিয়ে এত প্রশ্ন! আর কেনই বা এত গুঞ্জন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে! প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র। আর সেখানেই তিনি একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “দল থাকলেই রোজগার হবে। কে কিভাবে রোজগার করেন, সব জানা আছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে এতদিন বিরোধীরা যে অভিযোগ করছিল, সেটাই সত্যি! তৃণমূল করে সত্যিই হয়্তো ইনকাম হয়। সত্যিই হয়তো তৃণমূল নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত! আর সেই কারণে বিধায়ক পর্যন্ত প্রকাশ্য কর্মী সভায় এই কথা বলে ফেললেন! অনেকে বলছেন, তৃণমূলে যেভাবে নেতাদের জেলযাত্রা হচ্ছে, তা তো এমনি এমনি নয়। নিশ্চয়ই তারা দুর্নীতি করেছেন বলেই তাদের ইডি ধরছে। আর তার ছিটেফোঁটা যে নীচুতলাতেও আসে, সেটাই হয়ত অন্যভাবে বুঝিয়ে দিলেন লাভলী মৈত্র। বিজেপির দাবি, তৃণমূল অসৎ উপায়ে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এদের আমলে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা অতীতে কোনো সময় হয়নি। দলের প্রত্যেকটি নেতা কর্মীদের রোজগার হয় মানুষের টাকা চুরির মধ্যে দিয়ে। আজকে লাভলী মৈত্রের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেটা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই বিধায়িকা যখন এই কথা বলছেন, তখন এই রাজ্যের সমস্ত দুর্নীতির ঘটনায় যাদের যাদের নাম এসেছে, তাদের সকলকে তদন্তের অধীনে নিয়ে এসে জেরা করা উচিত। আর যদি সঠিক তদন্ত হয়, তাহলে রোজগার করা নেতারা, মানুষের টাকা লুট করা নেতারা অবিলম্বে জেলে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, সত্য বেশিদিন ধামাচাপা দেওয়া যায় না। তৃণমূল নেত্রী নিজে যতই সততার প্রতীক বলে দাবি করুন না কেন, যতই তিনি প্রকাশ্য সভামঞ্চে বলুন না কেন যে, তার দলের মত সৎ রাজনৈতিক দল আর কেউ নেই! তার কথায় আর রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করে না। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির পর্দাফাঁস হচ্ছে, যেভাবে নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, তাতে এই সরকারের ওপর মানুষের ভরসা আর নেই। তবে বিরোধীদের প্রত্যেকটি বক্তব্যে এতদিন সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করত না। কিন্তু তৃণমূল বিধায়কাই যখন প্রকাশ্য সভা থেকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, দল আছে বলে রোজগার হচ্ছে, তখন বুঝে নিতে হবে যে, দুর্নীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! আজকে দুর্নীতির টাকায় তৃণমূল নেতারা রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। তাই এই সংগঠিত দুর্নীতির আখড়াকে ভেঙ্গে দিতে হলে অবিলম্বে রাজ্যের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বিদায় দিতে হবে এই ফ্যাসিস্ট দলকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -