প্রশান্ত কিশোরও ফেল? তৃণমূল নেতাদের গেরুয়া যোগ নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা কলকাতা রাজ্য November 5, 2019 লোকসভা ভোটে প্রায় ভরাডুবির পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল প্রশান্ত কিশোরকে দলের সমস্ত দায়িত্ব দেন কিন্তু তারপরেও দল থেকে বিজেপিতে যোগদান এ প্রবণতা বেরিয়ে গেছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতা নেত্রীরা আবার পুরনো দলে ফিরে যাচ্ছেন। যদিও বিজেপি র দাবি যারা যাচ্ছে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নেতারা তাদেরকে আটকাতে পারছে না কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে !যদিও সে অন্য কথা। এদিকে তৃণমূলের নেতারা ফিরে আসায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল শিবির। লক্ষ্য একটাই তা হলো 2021 আর এই 2021 এই ফের ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের সংগঠন সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই নিয়েই অভিযোগ উঠেছিল যে দলের নেতা নেত্রীদের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতে ও বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা যোগাযোগ না রাখতে পারে তাই তাদের ফোন ট্যাপ করে রাখা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরো অস্বীকার করা হয়। এদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল ফোনে আড়িপাতা ও হোয়াটসঅ্যাপেই নজরদারি চালানো হচ্ছে কেন্দ্রের তরফ থেকে আর এই নিয়ে এদিন বিজেপির নেতা মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়ে এদিন দাবি করলেন রাজ্যের তৃণমূল নেতারা হোয়াটসঅ্যাপেই যোগাযোগ রাখেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী এমন কী পারিষদরা এবং আইএএস, আইপিএস অফিসাররা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপেই কথা বলেন। জেলার এসপি, ডিএমরা পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। এর কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। যার অভিযোগের তীর গিয়ে পড়েছে শাসকদলের উপরেই। তিনি এর কারণ হিসেবে বলেছেন, সাধারণ ফোনে আড়িপাতার ভয়। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে সায়ন্তন বসু এদিন বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে, মন্ত্রী, আমলারা যাঁরা তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছেন, তাঁদের নাম ও কথোপকথন পাঠিয়ে দেবেন তিনি। আর এই নিয়েই এখন শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যে। কেননা তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে বিজেপিতে আর যেতে চাইছে না নেতা-নেত্রীরা। কেননা তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই যারা গিয়েছিলো তারা ফিরে আসছেন। আর তাদের দেখে যারা যাব বলে স্থির করেছিল তারাও আর যাচ্ছে না। কিন্তু এদিন বিজেপি নেতা এই মন্তব্য করে তৃণমূলের রক্তচাপ যে বাড়িয়ে দিলেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলে। আরও পড়ুন – প্রিয় বন্ধুর ওপিনিয়ন পোল – এই মুহূর্তে ভোট হলে কি হবে খড়্গপুর-সদরের চিত্র? সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে প্রতি মুহুর্তে। বিজেপিরা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফোন ছাড়াও তাঁর ফোনেও আড়িপাতা হয়েছে, অভিযোগ করেছেন সায়ন্তন বসু। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ তার কাছে আছে, দাবি করেছেন সায়ন্তন বসু। সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অছিলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মূল্য সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সায়ন্তন বসু বলেছেন, উনি কাউকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেও তিনি বিশ্বাস করতে পারেন না। দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। সেই প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। আপনার মতামত জানান -