রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। আর তিনটি আসনেই বিজেপি-তৃণমূল দুজনের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। করিমপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

আজ মঙ্গলবার জয়প্রকাশ মজুমদার মনোনয়নপত্র পেশ করতে যান। এই সময় তার সাথে ছিলেন মুকুল রায় এবং দলের নেতা কর্মীরা। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল প্রায় ৩০০ নেতা কর্মী সমেত যুবনেতা। এর পর তৃণমূল থেকে বিজেপিকে নিয়ে গেল গেলো রব তুলে দেয়া হয়েছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার করাও শুরু হয়েছিল যে, বিজেপির প্রার্থীকে পছন্দ হয়নি সেই কারণেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা।আর তাই এই কেন্দ্রে বিজেপির জেতা অসম্ভব।

আজ বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূলের সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে দাবি করলেন যে জয়প্রকাশবাবুই জিতবেন। এদিন তিনি বলেন, এই কেন্দ্রের জয়প্রকাশের জেতা ১০০ ভাগ নিশ্চিত। কেননা তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে ভিড় জমাচ্ছেন। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের প্রবণতা প্রচুর বেড়ে গেছে।

এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে সংখ্যালঘু মানুষকে বিজেপি থেকে তৃণমূলের টানার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। এই নিয়েও মুকুল রায় মমতাদেবী শরণার্থীর সংজ্ঞাটাই জানেন না। কে শরণার্থী, কে অনুপ্রবেশকারী সেই জ্ঞানই তাঁর নেই। তাই বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আর তৃণমূলের কোনও আশা নেই।

এদিকে দলে দলে সংখ্যালঘুরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছে শুনে তৃণমূলের দাবি মুকুল রায় বরাবরই মিথ্যা কথা বলে বাজিমাতের চেষ্টা করছে। কিন্তু লোকজন ফের মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই ফিরে আসছে। ফলে এবারেও তেমনি মিথ্যা দাবি তুলেছেন কেউ যায়নি। করিমপুরের মানুষজন তৃণমূল ছাড়া বিজেপিকে কোনমতেই আসতে দেবে না।

এদিকে বিজেপির দাবি করিমপুর তাদের হাতেই থাকবে কেননা দলে দলে মানুষ যোগদান করছে বিজেপিতে। এখন দেখার কার হাতে থাকে করিমপুর।