এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > থানায় জমিয়ে মাংস-ভাত খেয়ে এবার কি বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন বিজেপি নেতারা? বাড়ছে জল্পনা

থানায় জমিয়ে মাংস-ভাত খেয়ে এবার কি বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন বিজেপি নেতারা? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রয়াত হন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। আর এরপরই গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বনধের ডাক দেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। আর দলের বিধায়ক যখন প্রয়াত হয়েছেন এবং তা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে তখন শোকের ছায়া বলে ধরে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া বেশ কিছু বিজেপি কর্মী থানায় বসে মাংস-ভাত খেতে শুরু করেন। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই রীতিমতো নিন্দার ঝড় ওঠে ওটা রাজ্যজুড়ে।

অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেন, বিজেপি কি সত্যিই তাদের বিধায়কের মৃত্যুতে শোকাহত? তাহলে তারা কি এভাবে থানায় বসে আনন্দ সহকারে হাসিহাসি মুখে মাংস ভাত খেয়ে উদযাপন করতে পারতেন? তাহলে কি তাদের কাছে গোটা ঘটনাটা শুধুমাত্র লোক দেখানো? স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে এইরকম ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়।

তাহলে কি এবার বিজেপি নেতৃত্ব এই সমস্ত অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? সূত্রের খবর, থানায় বসে বিজেপির যে সমস্ত নেতাকর্মীরা মাংস-ভাত খেয়েছিলেন, এবার তারা দলীয় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বনধের সময় বিজেপি কর্মীরা সেই বনধকে সফল করতে রাস্তায় নেমেছিল। আর তখনই জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর পরেই থানায় সেই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের মাংস ভাত খাওয়ানো হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাপে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। যখন বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে শোকাহত, তখন এভাবে বিজেপি নেতা কর্মীরা মাংস ভাত খাচ্ছেন কেন! তা নিয়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএম সকলেই গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে।

ফলে এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকেও ব্যাপক চাপে পড়তে দেখা যায়। আর তাই নিজেদের অস্বস্তি ঢাকতে এবার যে সমস্ত নেতাকর্মীরা থানায় গিয়ে মাংস ভাত খেয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে বিজেপির একটি বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “থানা যদি আটকে রাখে, তাহলে যা খেতে দেবে, তাই তো খেতে হবে। না খেয়ে তো মারা যেতে পারেন না আমার কর্মীরা। সবাইকে মাংস ভাত খাওয়ায়, আমাদেরও খাইয়েছে। থানা কেস খাওয়ালে খাচ্ছি। এবার মাংস ভাত খাইয়েছে। মাংস ভাতের পুরো দায়িত্ব জেলা পুলিশ সুপারের।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি যাতে আয়ত্তে না বেরিয়ে যায়, তার জন্যই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পুলিশের ঘাড়ে সমস্ত দোষ চাপিয়েছিলেন। কিন্তু যখন বিজেপির অন্দরে শোকের আবহ থাকে, তখন কেন বিজেপি নেতা কর্মীরা মাংস ভাত খেতে রাজি হলেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

তাই এবার সেই প্রশ্ন যাতে তৃণমূল, সিপিএম সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলের কাছে প্রধান অস্ত্র হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য এবার বিজেপির পক্ষ থেকে সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!