এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে বদলে যাচ্ছে নির্বাচনের নিয়ম? সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করতে কমিশন আনছে বড়সড় পরিবর্তন?

করোনা আবহে বদলে যাচ্ছে নির্বাচনের নিয়ম? সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করতে কমিশন আনছে বড়সড় পরিবর্তন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস এসে মানুষের জীবনযাত্রার অনেকটাই পরিবর্তন করে দিয়েছে। করমর্দন প্রায় ভুলেই গেছেন সকলে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, মুখে মাস্ক পড়েই কথা বলতে হচ্ছে সকলকে। কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে, কেউ জানেন না। কবে অবস্থার উন্নতি হবে, তার দিকে তাকিয়ে সকলে। আর এমত পরিস্থিতিতে নির্বাচন যদিও বা হয়, তাহলে কিভাবে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে রয়েছে বড় প্রশ্ন। তবে এবার সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে ভোটের বোতামে আঙ্গুল দিয়ে যাতে কারও শরীরে ভাইরাস না প্রবেশ করে, তার জন্য নয়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, এবার থেকে আদুর নয়, বর্মে আঙ্গুল ঢাকা হবে। আর তাকে সঙ্গী করেই বোতামে চাপ দেবেন সাধারণ জনগণ। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠক করেন উপ-নির্বাচন কমিশনার উমেশ সিনহা, সুদীপ জৈন এবং চন্দ্র কুমার ভূষণ। সামনেই বিহার সহ যে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে কিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত করা যাবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।

আর সেখানেই এই সমস্ত বিষয় উঠে আসে। জানা গেছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে বোতাম টিপে ভোটাররা তাদের মত প্রকাশ করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে একে বোতামে ভিন্ন ভিন্ন লোকজন আঙ্গুল দিয়ে ভোট দেবেন। যার ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বোতামে আঙ্গুল দেওয়ার আগে সকলকে হাত শুদ্ধ করে নিয়ে গ্লাভস পড়ে বোতামে চাপ দেওয়ার কথা বলতে ভাবা হচ্ছে। পরবর্তীতে ভোট দান করে গ্লাভস একটি নির্দিষ্ট জায়গায় খুলে রাখবেন ভোটাররা। আর এরপরই তারা কক্ষত্যাগ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ভোট দানের সময় ভোটারদের আঙুলে কালির প্যাড ব্যবহার করে ছাপ দেওয়া হয়‌। এবার সেখানেও বিশেষ বদলের কথা ভাবা হচ্ছে। এই জন্য প্রত্যেক ভোটদাতার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পাতার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা। অর্থাৎ কোনভাবেই যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, এখন সেটাই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিশনের কাছে। এদিকে কিছুদিন আগেই ঠিক করা হয়েছিল যে, করোনা ভাইরাসের কারণে 65 বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের পোস্টাল ব্যালটে বাড়ি থেকেই জনমত নেওয়া হবে।

কিন্তু এখনই সেই সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে না তোলার কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “কারও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে তো তার অধিকারে হস্তক্ষেপ।” অর্থাৎ একদিকে যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার কারও হস্তক্ষেপ করা না হয় এবং অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে সময় নির্বাচনের কারণে বিন্দুমাত্র অসতর্কতায় বৃদ্ধি না পায়, এখন সেটা প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও অনেক রাজ্যের নির্বাচন হয়েছে। তাই করোনা ভাইরাস কবে শেষ হবে, তা যখন সকলেরই অজানা, ঠিক তখনই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যাতে সচেতনতা বজায় রাখা যায়, তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই আলোচনা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগত দিনে যে সমস্ত নির্বাচন রয়েছে, সেখানে কি কি সর্তকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!