এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে ধুয়েমুছে সাফ তৃনমূল ! এবার ঠ্যালা পাবেন মমতা? শুভেন্দুর টনিকে উত্তাল রাজ্য!

রাজ্যে ধুয়েমুছে সাফ তৃনমূল ! এবার ঠ্যালা পাবেন মমতা? শুভেন্দুর টনিকে উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা ভোটে সবুজ আবির উড়িয়ে, প্রচুর আসন পেয়ে তৃণমূল ভেবে নিয়েছে, গোটা রাজ্যেই তাদের রমরমা কারবার চলবে। সদ্য সমাপ্ত ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই আত্মবিশ্বাসই এবার কাল হতে যাচ্ছে না তো রাজ্যের শাসক দলের? পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে খুব সহজেই তারা জিততে পারে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এক নয়। তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। হাতে আর কয়েকটা মাস। তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে দেশের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনেই বাংলা থেকে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। না, এই সমস্ত কথা আমরা বলছি না। কার্যত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রচন্ড কনফিডেন্স নিয়ে এই কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার তিনি এইরকম মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এদিন একেবারে শাসকদলের চোখে চোখ রেখে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, এবার বিজেপির সঙ্গে আর পেরে উঠবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এদিন পিংলায় বুথ কর্মীদের নিয়ে একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বিগত আড়াই বছর ধরে রাজ্যে কোনো ভোট হয়নি। ভোট তো হবে লোকসভায়। তখন পিসি আপনাকে খেলা দেখাব। মেদিনীপুর আপনাকে হারিয়েছে। এবার আপনাকে প্রাক্তন করে ছাড়ব। আসল খেলা হবে লোকসভার ভোটে। সেটাই হবে আসল ভোট।” অনেকে বলছেন, অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের একাংশ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে খবর করে ভেবেছিল, বিজেপিকে চাপে রাখবে। তৃণমূল যা নিয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিল। তাদের নেতারাও ভাবতে শুরু করেছিলেন যে, বিজেপির এখনই এই অবস্থা, তাহলে তারা লোকসভায় কি করে তৃণমূলকে চাপে রাখবে? কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছেন, বিজেপিতে রয়েছেন তাদের সঙ্গেই দীর্ঘদিন ঘর করা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তার সাহস এবং তার রাজনৈতিক দক্ষতা। ফলে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে এতদিন জয়ের সেলিব্রেশন করেছে তৃণমূল। কিন্তু এবার মানুষের সমর্থন নিয়ে আসল সেলিব্রেশন করবে বিজেপি। লোকসভা ভোটেই তার চিত্র দেখতে পাবেন তৃণমূল নেত্রী বলেই দাবি সমালোচকদের।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকেও হাতে রেখে নির্লজ্জ পরিচয় দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বুথের ভেতর ছাপ্পা করে এমনকি গণনার দিনেও অবৈধ উপায় অবলম্বন করেছে তারা। যার ফলে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে। কিন্তু তাদের পুলিশ তো লোকসভায় থাকবে না। তাই মানুষ কাকে সমর্থন করেন, তা আগামী লোকসভা এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচনেই স্পষ্ট হবে। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। আর তাতে মুখ থুবড়ে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। 42 এ 42 এর স্বপ্ন আবার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে বলেই দাবি ভারতীয় জনতা পার্টির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি মানুষ বিরক্ত। দুর্নীতি থেকে শুরু করে বেকারত্ব, মানুষ চাইছে দোষীদের সাজা হোক। বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনই বক্তব্য উঠে আসছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে তদন্ত করছে, তাতে অনেক বড় বড় রাঘববোয়াল জেলে ঢুকে যেতে পারেন। ফলে এমনিতেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়বে। তাই তার মধ্যে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করতে গিয়ে পিংলা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি দকরলেন, তাতে স্পষ্ট যে, বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গে দারুন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের যে জুটি তৈরি হয়েছে, তাতে পিসি ভাইপো মিলে তাকে আদৌ আটকাতে পারবেন না। ফলে লোকসভায় বিজেপির কাছে হেরে ভূত হওয়ার জন্য এখন থেকেই তৈরি হয়ে যাক রাজ্যের শাসকদল। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!