এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নাচ ভাইপো নাচ, ইডির বাঁশিতে দিশেহারা যুবরাজ! দৃষ্টি ঘোরাতেই নয়া কর্মসূচি, কটাক্ষ বিজেপির!

নাচ ভাইপো নাচ, ইডির বাঁশিতে দিশেহারা যুবরাজ! দৃষ্টি ঘোরাতেই নয়া কর্মসূচি, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে বাংলার যুবরাজকে চেপে ধরেছে, তাতে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা পড়ে গিয়েছেন। মুখে তিনি অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু তার আপ্ত সহায়ককে ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, কোনোমতেই ছাড়া হবে না। দোষ যদি করে থাকেন, তাহলে শাস্তি পেতেই হবে। তবে সব দিক থেকেই তার পালানোর আর কোনো রাস্তা নেই বুঝেই কি এবার নয়া পথে বাংলার যুবরাজ? আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতা এবার এমন একটি পদক্ষেপ নিলেন, যাতে তার বিরুদ্ধে ইডি যদি এবার কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তিনি এটা বলতে শুরু করবেন যে, তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন। তাই তাকে হেনস্থা করতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। তাই এখন তিনি আবার নতুন নাটক শুরু করলেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে আবার এক নতুন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। জনসংযোগের জন্য “অভিষেকের দূত” বলে একটি নতুন কর্মসূচি সামনে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ এতদিন দিদির দূত ছিল, দিদিকে বলো কর্মসূচি ছিল, আর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাইলাইট করতে তৃণমূলের এই নয়া কর্মসূচি। তবে এই কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীরা মোটেই চিন্তিত নয়। তারা বলছেন যে, ইডি যেভাবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে, তাতে খুব দ্রুত তারা বড় পদক্ষেপ নেবে। আর এটা বুঝতে পেরেছেন বাংলার যুবরাজ। তাই কোনো গতি না পেয়ে তিনি এখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছেন বলেই দাবি বিরোধীদের। একাংশ বলছেন, ইডি ডাকলে প্রতিমুহূর্তে তাঁর জেরা কি করে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তার চেষ্টা করছেন যুবরাজ। মুখে তিনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলেই তিনি আদালতের কাছে চলে যান। আমাকে রক্ষাকবচ দাও, আমাকে বাঁচাও, ইত্যাদি ইত্যাদি আবেদন করতে দেখা যায় তাকে। তাই এবার তিনি চাইছেন, এমন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আসতে, যাতে যদি ইডি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তিনি সেটাকে সামনে তুলে ধরে একটা প্রচার করবেন। তিনি তখন বলতে পারবেন যে, আমি এই কর্মসূচি করছি, তাতে বিজেপি চাপে পড়েছে। তাই বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু তাকে এই কথা বলার সুযোগ বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, কেউই দেবে না। তার বুজরুকি আগেই সকলে ধরে ফেলেছে বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, ইডির বাঁশিতে এখন একটাই সুর উঠছে, নাচ ভাইপো নাচ। বাংলার মানুষও এই দৃশ্য দেখতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ খুব কাছ থেকে দেখেছে। এই দল দুর্নীতি এবং মানুষকে অত্যাচারের দিক থেকে সবার প্রথমে এগিয়ে রয়েছে। আজকে বাংলাকে সব দিক থেকে শেষ করে দিয়েছে। তারা আবার এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত বলে নতুন কর্মসূচি করে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু আসলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে তদন্ত করছে, তাতে তৃণমূল পরিবারের মাথায় বাজ পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ধীরে ধীরে তাদের অনেক নেতা সম্পর্কে গোপন তথ্য সামনে আসছে। অনেকে জেলে রয়েছেন, আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সব বুঝেই দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই এই ধরনের ঢঙের কর্মসূচি আনছে তৃণমূল বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যদি ভেবে নেয়, এসব করে তারা তদন্তকে ঘুরিয়ে দেবে, তবে তারা ভুল করছেন। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তা আর কারও কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ কেন্দ্রীয় সংস্থা নিরপেক্ষ জন্যেই তারা বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি করতে গিয়েছে। ফলে ভাইপো নিজেকে বড় নেতা ভাবতেই পারেন। কিন্তু মানুষ অন্তত তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। মানুষ চাইছেন, দুর্নীতি যারা করেছে, তাদের শাস্তি হোক। ফলে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য নাটুকে কর্মসূচি দিয়ে আর যাই হোক, তদন্তকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষকে কালো চশমা পরিয়ে রাখার চেষ্টা করলে ভুল করবে শাসকদল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!