এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় পদক্ষেপ, ইডির বানে ঘুম উড়বে মমতার? আশাবাদী বিরোধীরা!

নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় পদক্ষেপ, ইডির বানে ঘুম উড়বে মমতার? আশাবাদী বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর অনেক আশা রয়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু তাদের পদক্ষেপ নানা সময় প্রশ্নের মুখে পড়ছে। আদালতও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ইডি, সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া ঠিকমত করতে পারছে না। এমনকি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা মিথিলেশ মিশ্রকে সরিয়ে দিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। আর এবার নিজেদের হাতে থাকা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ভালোভাবে করতে বড় পদক্ষেপ নিল সেই ইডি। যেখানে মিথিলেশ মিশ্রের বদলে তারা দুইজন নতুন হেভিওয়েটকে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে চলেছে। যার মধ্যে একজন কোলকাতার হলেও অপরজন আসছেন গ্যাংটক থেকে। আর নতুন রুপে দুই ব্যাক্তি এই তদন্ত হাতে নিলে তৃনমূলের রাঘব বোয়ালদের ঘুম উড়বে বলেই দাবি বিরোধীদের।

সূত্রের খবর, ইডির পক্ষ থেকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে গ্যাংটকের রাজেশ কুমারকে। এছাড়াও তার সঙ্গে এই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন উমেশ কুমার। যিনি ইতিমধ্যেই গতকাল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছেন বলেও খবর। অর্থ্যাৎ বিচারপতিদের ভর্ৎসনার পর ইডি এখন তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটাই তৎপর। এতদিন তারা অনেক বকাবকি খেয়েছে। তাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিন্তু এবার মিথিলেশ মিশ্রের জায়গায় যে দুই অফিসার এই তদন্ত করবেন, তারা অত্যন্ত কড়া। যার ফলস্বরূপ একের পর এক জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি থেকে শুরু করে জেরার মত বিষয় সামনে আসছে। আর এভাবেই যদি ইডি, সিবিআই সক্রিয় থাকে, তাহলে তদন্ত শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। অনেকে বলছেন, তল্লাশি, জেরা অনেক হয়েছে। মানুষ চাইছে, এবার যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের ঘাড় ধরে ভেতরে ঢোকানো হোক। তাই আদালতের নির্দেশে ইডি, সিবিআই অ্যাকশন নিলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে বেশি দেরি নেই বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

বিরোধীদের দাবি, দোষ তো কেন্দ্রীয় সংস্থার নয়। একটা সেটিংয়ের অভিযোগ এতদিন ছিলই। তবে দুর্নীতিকে দমন করতে আদালত মোক্ষম টাইট দিয়েছে। তাই এখন অপরাধীদের আড়াল করতে চাইলেও কারও পক্ষেই আর কিছু করার নেই। বিচারপতিরা যেভাবে কড়া নজর রেখেছে, তাতে নতুন এই দুই অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। মানুষের বিশ্বাস ফেরাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক অপরাধীদের বিরুদ্ধে। অনেক বড় বড় হেভিওয়েট এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের শাস্তি না হলে সাধারনের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সম্পর্কে বিশ্বাস ফিরবে না। ফলে এবার দুই অফিসার দায়িত্ব নিলে ন্যায্য শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা সুবিচার পাবেন বলেই আশা বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিই এখন রাজ্যে প্রধান বড় ইস্যু। ইতিমধ্যেই তৃনমূলের অনেকে জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। ফলে আরও অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে। তবে তদন্ত ঠিকমত না এগোলে সেই কাজ কিভাবে সম্ভব হবে, এই প্রশ্ন এতদিন ছিলই। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তদন্তকারী অফিসার বদল হওয়ার পর বিরোধীরাও যথেষ্ট আশাবাদী। তারা বলতে শুরু করেছেন, নতুন দুই অফিসার যদি ঠিকমত তদন্ত করেন, তাহলে চাপে পড়তে বাধ্য হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিন তাই দুই ইডি অফিসারের চাপে তৃনমূলের দুঃসময় আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!