মমতার অন্যায় আবদার, গর্জে উঠছে নন্দীগ্রাম! ঠেলা বুঝছে তৃনমূল, কটাক্ষ বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 12, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে নিয়েছেন, তার খেয়াল খুশিমতোই সবকিছু চলবে। কিন্তু গোটা রাজ্যে তিনি পিতৃপক্ষের সময় দুর্গা পূজার উদ্বোধন করতে পারেন, শাস্ত্রকে অবজ্ঞা করতে পারেন। কিন্তু নন্দীগ্রাম তার কথামতো চলবে না। হিন্দু শাস্ত্র রীতিনীতি অনুযায়ী, দেবীপক্ষ পড়ার পরেই নন্দীগ্রামের ক্লাবগুলোর পূজোর উদ্বোধন শুরু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কায়দায় দুর্গাপূজাকে চালিত করতে চাইছেন, এবার তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এতেই অহংকারী মুখ্যমন্ত্রীর দর্প চূর্ণ হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি বিরোধীদের। প্রসঙ্গত, আজ ভার্চুয়ালি বাড়ি থেকে রাজ্যের একাধিক ক্লাবের পূজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন, হিন্দু শাস্ত্রকে এই করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। দেবী পক্ষের আগে কোনোভাবেই পিতৃপক্ষের সময় পুজোর উদ্বোধন করা যায় না। তবে গোটা রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিয়ে ক্লাবগুলোকে নিজের হাতে রেখে আগেভাগেই পূজোর উদ্বোধন করলেও, নন্দীগ্রাম সেই পথে হাঁটছে না। এদিন সেই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কেন আজকে উনি পূজার উদ্বোধন করবেন? পিতৃপক্ষের সময় পিণ্ডদান করতে সবাই গয়ায় যান। এই সময় পূজার উদ্বোধন হয় না। দেবীপক্ষ পড়ার পর তা করতে হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিয়ম লংঘন করছেন। তবে নন্দীগ্রামে 48 টি পুজো রয়েছে। তার মধ্যে 47 টি পূজাকেই আমি বারণ করে দিয়েছি, আজকে যেন পুজোর উদ্বোধন না হয়। তারা আজকে পুজোর উদ্বোধন করছে না।” একাংশ বলছেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হোক বা হিন্দু শাস্ত্রকে মান্যতা দেওয়া, গোটা রাজ্যকে পথ দেখাচ্ছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, নিজের হাতের তালুর মতো রাজ্যকে পরিচালনা করতে। কিন্তু সব তার কথা মত চলবে না। এবার আবার তা প্রমাণ করে দেওয়ার পথে হাঁটতে শুরু করল আন্দোলনের আঁতুড় ঘর। সব অন্যায় আবদার মুখ্যমন্ত্রীর মেনে নেওয়া হবে না বলেই দাবি সমালোচকদের। বিজেপির দাবি, গোটা রাজ্যে ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কিনে নিয়েছেন। তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন সমস্ত নিয়ম কানুন। হিন্দু শাস্ত্রকে ধ্বংস করে দেবী পক্ষের আগেই পূজার উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে। কারণ এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর খেয়াল খুশিমতোই সবকিছু চলবে। হিন্দু সংস্কৃতিকে ভালো করেই লালন এবং পালন করতে জানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই যে কাজটা কেউ পারলো না, নন্দীগ্রামে সেটাই তিনি করে দেখালেন। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কিছু সুবিধা পেতে হয়তো বা আজকেই ক্লাবগুলোতে পূজার উদ্বোধন তার হাত দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন। সরকারের কাছে ভালো থাকতে অনেকে হয়তো মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি রাখতে ভার্চুয়ালি এই উদ্বোধন প্রক্রিয়াকে ঘটা করে পালন করছেন। কিন্তু নন্দীগ্রাম সেই পথে হাটেনি। তারা হিন্দু শাস্ত্রকে মান্যতা দিয়ে দেবী পক্ষ পড়ার পরেই পূজোর উদ্বোধন করবে। আর এতে ভালো মতোই ঠেলা পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, কি অসুবিধে ছিল, যদি দেবী পক্ষ পড়ার পর পূজোর উদ্বোধন করতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? তিনি তো ভার্চুয়ালি সেই সমস্ত পূজার উদ্বোধন দেবী পক্ষ পড়ার পরে নিষ্ঠা সহকারেই করতে পারতেন। তখন তো বিরোধীরা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারত না। কিন্তু তার এই ধরনের আচরণ তো বিরোধীদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে। ফলে শুভেন্দু অধিকারী যেমন হিন্দু শাস্ত্রকে অপমান করার অভিযোগ তুলছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ঠিক তেমনই নন্দীগ্রামকে আবার জাগিয়ে তুললেন। বুঝিয়ে দিলেন, সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো চললেও নন্দীগ্রাম নতুন করে পথ দেখাচ্ছে। যেমন বিগত বাম সরকারের আমলে দেখিয়েছিল, তেমনই এই সরকারের আমলে পরিবর্তনের সূচনা হবে সেই নন্দীগ্রাম থেকেই। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -