এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে অগ্নিকাণ্ড, সুকান্তর ছবিতে লাথি! কবে জাগবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? জোরালো দাবি!

বিজেপিতে অগ্নিকাণ্ড, সুকান্তর ছবিতে লাথি! কবে জাগবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? জোরালো দাবি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি নিজেদের সর্বভারতীয় এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল বলে দাবি করে। তারা আবার স্বপ্ন দেখছে, রাজ্যে তৃণমূলকে তারা নাকি ক্ষমতাচ্যুত করবে! কিন্তু তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আগেই নিজেদের ঘর সামলানো উচিত বঙ্গ বিজেপির। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আর এবার সমস্ত কিছুকে কার্যত পেছনে ফেলে বিজেপির মুরলীধর লেনের অফিসের সামনে যে ঘটনা ঘটলো, তা দেখে লজ্জিত হওয়া উচিত বর্তমান বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি যেভাবে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে কর্মীরা রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, বিক্ষোভ করছেন, তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবিলম্বে বাংলা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সত্যিই চায়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ভালো ফল হোক, তাহলে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়ে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত, যিনি কঠোর হাতে সমস্ত কিছুকে সামাল দিতে পারেন। এদিন যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর তেমনই দাবি উঠছে কর্মীদের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিজেপির সল্টলেকের অফিসের সামনে বারাসাতের কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি ছিল, বারাসাতের যিনি জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। আর আজ সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় মুরলীধর লেনের অফিসের সামনে। যেখানে দেখা যায়, বিজেপি কর্মীদের একাংশ রীতিমতো সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এমনকি সুকান্তবাবুর ছবিতে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ স্লোগান ওঠে, কাঠের পুতুল সুকান্ত মজুমদার দূর হটো। যা দেখে রীতিমত লজ্জিত বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তারা বলছেন যে, এই ঘটনা চলতে থাকলে এই নেতৃত্ব দ্বারা কিভাবে পরিবর্তন সম্ভব? অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন ঠিক করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

বিজেপির একাংশের দাবি, যদি সত্যিই বর্তমান নেতৃত্ব যোগ্য হত, তাহলে এত বিক্ষোভের পরে তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একটা কড়া পদক্ষেপ নিত। অথবা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে কর্মীদের পক্ষ থেকে, তাকে নিয়ে কোনো একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করত বিজেপি। অন্তত তারা এই বিক্ষোভকে সামাল দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হত। কিন্তু তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি জন্যেই আজকে মুরলীধর লেনের মত অফিসের সামনেও কর্মীদের বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করলো। তাই যদি সত্যিই বাংলা নিয়ে বিজেপি চিন্তিত হয়, তাহলে এই নেতৃত্বকে অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী কাজ করছেন, তার মত কোনো শক্তিশালী কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে। যিনি সব কিছু সামাল দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসল লড়াইয়ে সকল কর্মীদের ঝাঁপানোর নির্দেশ দিতে পারেন। আর তার নির্দেশ অনুসারে সকলেই লড়াই করতে পারে শাসক দলের বিরুদ্ধে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির মতো দলে এই চিত্র দেখা যাবে, সত্যিই তা আশা করা যায় না। এরা আবার মুখে বড় বড় কথা বলে যে, তৃণমূলে নাকি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব রয়েছে। তৃণমূলে কি রয়েছে, তা তৃণমূলের নিজস্ব ব্যাপার। তারা কিভাবে ঘর সামাল দেবে, সেটা তারা বুঝে নেবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে বিকল্প তৃণমূল বিরোধী দলের যখন খোঁজ চলছে, তখন বিজেপি কেন নিজেদের সেই দল হিসেবে তুলে ধরতে পারছে না, এটাই বড় প্রশ্ন। এত সুযোগ সাধারন মানুষ তাদের দিচ্ছে। তারপরেও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অবহেলার কারণে কর্মীরাও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একমাত্র দাঁতে দাঁত চেপে যদি কেউ বিজেপির মধ্যে থেকে লড়াই করতে পারেন, তাহলে তিনি শুভেন্দু অধিকারী।

তাই বিজেপির ফলোয়ার কমছে, তাদের পার্টি অফিসের সামনে রাজ্য নেতৃত্বে্য ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কিন্তু একবারের জন্যও কর্মীরা কেউ শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছেন না। কারণ সবাই জানেন, লড়াই যদি কেউ দিতে পারেন, তাহলে তিনি সেই শুভেন্দুবাবু। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, নিজের এলাকায় দলকে জিতিয়েছেন। কর্মীদের নিয়ে কর্মীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে ক্রমাগত লড়াই দিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি বাংলাকে ভালোমতো শক্তিশালী করতে চান, তাহলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা অবিলম্বে বর্তমান নেতৃত্বকে পরিবর্তন করে এমন কাউকে দায়িত্ব দিন, যার হাতে বাংলার বিজেপি সুরক্ষিত থাকবে। কর্মী মহলে লাগাতার বিক্ষোভ, রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!