এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ধর্ষণে আর নয় কোনো ছাড়! ঘৃণ্য এই অপরাধে কঠোরতম শাস্তি আনতে চলেছেন মোদী-শাহ? শুরু তীব্র জল্পনা

ধর্ষণে আর নয় কোনো ছাড়! ঘৃণ্য এই অপরাধে কঠোরতম শাস্তি আনতে চলেছেন মোদী-শাহ? শুরু তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নারী পুরুষ সমাজে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এই দুয়ের যেকোনো একজনকে ছাড়া সমাজ এগিয়ে যাওয়া বা উন্নতি করতে পারেনা বলেই মনে করা হয়। বর্তমানে নারী-পুরুষ সমান সমান এই দাবি করা হলেও সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অবমাননা এবং অসম্মানজনক আচার-আচরণ বারবার প্রমাণ করে দেয় সমাজে বস্তুত নারীদের স্থান ঠিক কোথায়। আসলে সমাজে নারীদের স্থান তখনই উন্নত হবে যখন মানুষ তার মনে নারীকে সেই স্থানে উন্নীত করতে পারবে।

আমাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। তাই এই সমাজে নারীর স্থান সর্বদা পুরুষদের থেকে নিচু করেই দেখা হয়। তাইতো নারীদের থেকে পুরুষের দৈহিক উচ্চতা বেশি হওয়া থেকে শুরু করে বিবাহের ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য, এমনকি চাকরি বা কাজের ক্ষেত্রেও পারিশ্রমিকের পার্থক্য সবক্ষেত্রেই পুরুষদের থেকে নারীরা যে কতটা পিছিয়ে সে কথাই মনে করিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে গার্হস্থ্য অত্যাচার থেকে শুরু করে নারী ভ্রুণ হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা সমাজে নারীর অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে তুলে ধরে। তাই নারী-পুরুষ সমান এ কথা মুখে বলা হলেও তা যে কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেই নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় গোটা দেশ খেপে আছে। এই পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা গেছে কেন্দ্রকে। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই পুলিশকে ওই বিষয়ে এফআইআর নিতে হবে। এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে খুব বেশি হলে দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতেই হবে।

সেক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে, অভিযোগকারীকে ধরতে যে কোনও ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে প্রশাসন। প্রয়োজন হলে জাতীয় ডেটাবেসও ব্যবহার করতে পারেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রেও এফআইআর করতে গিয়ে দেখা যায় অনেকসময় অপরাধের স্থান অভিযোগকারীর এলাকার আওতায় পরে না। ফলে এফাইয়ার করতে অসুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, যেকোনো থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটলে, তা কোন থানার আওতায় পড়বে, তা খতিয়ে দেখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।

যে কোনও থানাতেই এফআইআর করা যেতে পারে। তবে এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে অনেকসময় গড়িমসির অভিযোগও উঠতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে নির্দেশিকায় জানান হয়েছে যে, তেমন কোনো অভিযোগ সামনে এলে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কঠিন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুও হতে পারে।

শুধু তাই নয়, যে মহিলার ধর্ষণ বা যৌন হেনস্তা হবে, তাঁকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সরকারি চিকিৎসকের সাহায্যে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতা মৃত্যুর আগে যদি কোনও বয়ান দিয়ে যান, তবে সেটিকে প্রমাণ হিসাবে মান্যতাও দিতে হবে সরকার প্রশাসনকে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে আরও বলা হয় যে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট এভিডেন্স কালেকশন কিটই তদন্তের সময় ফরেনসিক টিমকে ব্যবহার করতে হবে। এই নির্দেশিকা অমান্য করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!