প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের রয়েছে অম্ল মধুর সম্পর্ক। বলা যেতে পারে, রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ গ্রহণের পর থেকেই রাজ্যপাল বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ, পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল বারবার অভিযোগ করেছিলেন। সম্প্রতি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল।

গত শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে বলে রাজ্যপাল অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার ফের একটি টুইট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল। আজ দুপুর ২টোর মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এর জবাবদিহি চেয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ‘অ‌্যালার্মিং” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিণত হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিতে। পুলিশ ও প্রশাসন যদি রাজনৈতিক দলের দাসে পরিণত হয় তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, অন্যান্য বার যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবার আর তা হচ্ছে না।

তাঁর অভিযোগ, অপরাধ সংক্রান্ত কোন তথ্য রাজ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রকে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ” এমন আচরণের ফল আধিকারিকরা জানেন এবং তাঁদের ভুগতে হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ভীষণ অবনতি ঘটেছে বলেই রাজ্যের প্রত্যেকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছে।

এরপর নির্বাচন বিষয়েও কিছু বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। নির্বাচন বিষয়ে তিনি জানান যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নির্বাচনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? সে বিষয়ে তিনি কিছু জানান নি। তবে নির্বাচন বিষয়ে যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তার কথা তিনি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র সরকারের অনুদান দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকেরা পেলেও বঞ্চিত এ রাজ্যের কৃষকেরা।

আজ শনিবার রাজ্যের আইন শৃংখলার দুরবস্থা নিয়ে আবার টুইট করতে দেখা গেল রাজ্যপালকে। এবার এই টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকেও ট্যাগ করেছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

আজ দুপুর ২ টোর মধ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এর জবাবদিহি তলব করেছেন তিনি। এখন রাজ্যপালের টুইটের জবাব মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দেন কিনা সেদিকেই দৃষ্টি সকলের। তবে, আজকের এই টুইটের ফলে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক যে আরো খারাপ হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।