এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির নবান্ন অভিযানে রঙিন ‘রাসায়নিক’ বিতর্ক ক্রমশ তীব্র! আলাপনের তড়িঘড়ি ‘হোলির’ সাফাই!

বিজেপির নবান্ন অভিযানে রঙিন ‘রাসায়নিক’ বিতর্ক ক্রমশ তীব্র! আলাপনের তড়িঘড়ি ‘হোলির’ সাফাই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চা নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছিল। যার জেরে উত্তাল উঠেছিল কলকাতা। কাঁদানে গ্যাস ,জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করে। অভিযোগ উঠেছে, সেদিন জল কামানে ব্যবহৃত রঙিন তরলে মেশানো হয়েছিল রাসায়নিক। বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন এই জলকামানের রঙিন জলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সে দিনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যবহৃত পুলিশের জলকামানের জলে রাসায়নিক মিশ্রিত করার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালো এপিডিআর। এ বিষয়ে তাদের দাবি, হাওড়া জেলা পুলিশের এই কাজ খতিয়ে দেখে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, এর ফলে মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের উপর এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, সেদিন জলকামান থেকে যে জল ছোড়া হয়েছিল, সেখানে কোন রাসায়নিক মেশানো ছিল না। জলকামান থেকে হোলির রং ছোড়া হয়েছিল। তাঁর মতে এই ধরনের রং ইতিপূর্বেও ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে যথেষ্ট ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, ” কেউ কেউ বলছেন, ছ’মাস পরেও এই রঙের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ একবার কাশ্মীরে ব্যবহার হয়েছিল। কী এমন হল যে বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রাসবাদী মনে হল?’’ বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন।

তবে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন কোন বক্তব্য রাখতে দেখা যায় নি। তৃণমূল দলের জনৈক নেতার বক্তব্য, এটা পুলিশ প্রশাসনের বিষয়। এ বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন। তবে এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘‘মোদী সরকার অন্যত্র এ কাজ করে। এ রাজ্যে তা হবে কেন?’’ তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তিন বছর আগে বামেদের তরফ থেকে যখন নবান্ন অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল, তখনও এরকম রঙের ব্যবহার করেছিল পুলিশ। সেসময়ও তৃণমূল এই বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব ছিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!