এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দুর্গাপুজোর হুল্লোড়ে বাংলা চাপা পড়তে পারে করোনা তান্ডবে? তীব্র আতঙ্কে চিকিৎসকমহল? জেনে নিন

দুর্গাপুজোর হুল্লোড়ে বাংলা চাপা পড়তে পারে করোনা তান্ডবে? তীব্র আতঙ্কে চিকিৎসকমহল? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার চোখরাঙানির মধ্যেই দিচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। করোনা সংক্রমনের কারণে উৎসবের আনন্দ কিছুটা ফিকে হয়ে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু দূর্গাপূজার উৎসব থেকে বাঙালি দূরে থাকবে এমনটাও সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে তবেই পুজোর আয়োজন করতে। কিন্তু এর পরও চিন্তা দূর হচ্ছে না চিকিৎসক মহলের। পুজোর পর রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আতঙ্কিত চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত এবারের দুর্গা পুজো নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজোর উদ্যোক্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে কিভাবে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আয়োজন করতে হবে, সে সমস্ত কিছু জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নবান্নর তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে এক বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা দুর্গাপুজোর আয়োজক একাধিক ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবারের পুজোয় কোন মেলা বা দোকান বসাতে গেলে অনুমতি নিতে হবে পুরসভার। মণ্ডপ রাখতে হবে খোলামেলা, পূজামণ্ডপে একসঙ্গে অধিক মানুষের জমায়েতে যাতে না হয় সেই ব্যাপারটি নজরে রাখতে হবে উদ্যোক্তাকে। এছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, মণ্ডপে সকলে যাতে মাস্ক পরে সে বিষয়ে নজর রাখতে। সেইসঙ্গে সানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এত কিছুর পরও চিন্তিত আছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুজোর সময় মানুষেরা বাইরে বেরোবেন, মানুষের জমায়েতে ঘটবেই, আর জমায়েতের ফলেই করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে ব্যাপকভাবে। আগামী দিনে দুর্গাপূজা ছাড়াও আছে দশেরা, কাছে দীপাবলি, এরপর আছে ছটপুজো, এর পর বড়দিনের মত অনুষ্ঠান। সবকিছু নিয়েই রাজ্য প্রশাসনকে আরও সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি চিকিৎসক মহলের।

ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রমনের কারণে বিভিন্ন রাজ্যের উৎসব গুলি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, তবে পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উৎসব নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সামান্য ভুলের কারণে বিরাট বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে এরাজ্যে। রাজ্যের একাধিক ডাক্তার, নার্স করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর উপর উৎসবের সময় কেরালার মত যদি এরাজ্যেও বিপুলভাবে করোনা সুনামি ধেয়ে আসে, তবে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্য। রাজ্যের জনৈক চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ীও অনুরূপ বক্তব্য প্রকাশ করলেন।

প্রসঙ্গত গত মাসে মহালয়ার দিনে তর্পণকালে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে বিপুল জনসমাগম দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ে ছিল চিকিৎসকদের। দূর্গাপূজার সময়ে করোনার পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে চিকিৎসকদের। ওনাম উৎসব পালনের পর থেকে কেরালায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায় এ রাজ্যেও সেই আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!