এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের আগে তিন হেভিওয়েটের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে দূরত্ব? নতুন করে তুমুল অশান্তি বিজেপি পরিবারে?

একুশের আগে তিন হেভিওয়েটের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে দূরত্ব? নতুন করে তুমুল অশান্তি বিজেপি পরিবারে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিজেপি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে রাজ্যে সরকার গড়বে বলে আত্মপ্রত্যয়ী। কিন্তু বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে দলের অন্তর্কোদল। বিভিন্ন সময় নানা জেলায় বিজেপির নতুন বনাম আদি কর্মীদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। শুধু নীচুতলায় নয়, শীর্ষস্তরেও মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বিবাদের গুঞ্জন রটতে শুরু করে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মুকল রায়।

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায় একত্রিত হয়ে বাংলার নির্বাচনে মনোনিবেশ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে দুই নেতার দ্বন্দ্ব কমার কথা বলা হলেও, বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় মুকুল রায় থেকে শুরু করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় উপস্থিত হলেও, কেন সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। স্বভাবতই সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় বিজেপির ঐক্যবদ্ধ রুপ সামনে আসবে বলে আশা করা হলেও মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় তা একপ্রকার ভেস্তে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জানা যায়, বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সোমবার বিজেপির তরফ থেকে আন্দোলন কর্মসূচী অনুষ্টিত হয়েছিল। আর সেই কর্মসূচীতে পুরোভাগে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁয়ের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা। কিন্তু যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সেখানে দলের এক নেতার মৃত্যুর পরেও তিনি কেন সেখানে অনুপস্থিত? অনেকে বলছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে বনিবনা নেই দিলীপ ঘোষের।

তাই তিনি মুকুল রায় এবং তার অত্যন্ত ঘনিষ্ট কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে এক কর্মসূচীতে না থেকে সংঘাতকে জিইয়ে রাখলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের এই কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি শীর্ষস্তরে দলের দ্বন্দ্বকে সামনে এনে দিল। তবে দিলীপবাবুর এদিন অন্য কমসূচী থাকায় তিনি এই কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি কাকদ্বীপে দলীয় কর্মসূচীতে আছি। আমাদের বড় নেতারা ওই আন্দোলন দেখছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির চিন্তা অনেকটাই বাড়তে শুরু করবে। মুখে সকলে ঐক্যবদ্ধ চেহারার কথা বললেও দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেননা বর্তমানে তৃনমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলা সবথেকে বড় রাজনৈতিক কৌশল বিজেপির কাছে। সেদিক থেকে দলের এক হেভিওয়েট নেতা খুনে এই কর্মসূচীতে থেকে অন্তত তৃনমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে তৎপর হবেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। তবে যেভাবে সেখানে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের মত নেতাদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল, তাতে দিলীপ ঘোষের পদক্ষেপ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, শত কাজ থাকলেও এই কর্মসূচীতে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলের নিহত কর্মীর পরিবারের পাশে দাড়ানো উচিত ছিল দিলীপ ঘোষের। কিন্তু তিনি কর্মসূচীতেই উপস্থিত না থেকে মুকুল-কৈলাশের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হল বলে চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের না থাকা বিজেপির ফাটলকে চওড়া করল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!