এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুরু বিপ্লব দেব-সুনীল দেওধরের ঠান্ডা লড়াই, তীব্র ডামাডোলে জেরবার ত্রিপুরা বিজেপি

শুরু বিপ্লব দেব-সুনীল দেওধরের ঠান্ডা লড়াই, তীব্র ডামাডোলে জেরবার ত্রিপুরা বিজেপি


টাকর জলা, মান্দাই, করবুক সহ ত্রিপুরার নানা বসতি এলাকায় বিজেপি ও আইপিএফ সমর্থকদের গোলমালের খবরে পারদ বাড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। মোদীজির উপস্থিতিতে নতুন মন্ত্রীসভায় শপথ নেওয়ার ২ মাসের ভিতরই সমস্যায় পড়ল ত্রিপুরায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। জানা যাচ্ছে, একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই-এ সামিল বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর। অন্যদিকে, জোট শরিক আইপিএফটি পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের রাজ্যের দাবীতে রাস্তায় মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। সম্প্রতি বিজেপির বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরার উপর হামলার অভিযোগ করে যে আইপিএফটি সমর্থকদের গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ, তাঁদেরই মুক্তির দাবীতে এদিন করবুকে পথ অবরোধ করেছে ওই জনজাতি সংগঠন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজনৈতিক সূত্রের খবর বলছে,দেওধর বর্তমানে নিজের বেসরকারি কাজ সামলানোর জন্য বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। তবে এরই ভিতর আগরতলায় একটি জনসভায় এসে তিনি বলে গেছেন, ”ভোটের প্রচারে রাস্তার যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলতে পারতাম। কিন্তু একটা দল সরকারে চলে এলে তার দায়িত্ব হয় কাজ করা। তখন লোকে কাজ দেখতে চায়, প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে কি না দেখতে চায়।” বিপ্লব দেবের নাম উল্লেখ না করলেও, তাঁর অভিযোগের কোপ যে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে সেটা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। ইদানিং ত্রিপুরাতে বেশি দেখা যায় না দেওধরকে। তবে জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দেওধরের পরামর্শ নিতে সাম্প্রতিক কালে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এই গৃহযুদ্ধের মাঝেই পৃথক রাজ্য তিপ্রাল্যান্ডপর দাবীতে সরব হয়ে বিজেপিকে উত্যক্ত করছে আইপিএফটি। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আইপিএফটির সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জামাতিয়াকে পৃথক রাজ্যের দাবীতে মিছিলে যোগ দিতে দেখা গেলো। উপপ্রধানমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, ”উনি ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিছিলে গিয়েছেন। ওঁদের তো কিছু রাজনৈতিক দাবি আছে।”বিতর্ককে আরো শক্তিশালী করতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীন প্রচার কমিটি প্রস্তাব দিয়েছেন। জনজাতিদের আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তে হিন্দিতে খবর হলে বেশি মানুষের কাছে বার্তা পৌছাবে,জাতীয়তাবাদ মজবুত হবে এটাও জানান তিনি।
জানা যাচ্ছে, এই সমস্যারই সমাধান খুঁজতে বিজেপির মন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহরায় ও এন সি দেববর্মার নেতৃত্বে অইপিএফটির প্রতিনিধিরা এদিন বৈঠকে বসেছিলেন। “আলোচনা চলছে। এখনো বলার মতো কিছু হয়নি।” এমনটাই জানালেন মন্ত্রী তথা আইপিএফটি সভাপতি এন সি। অন্যদিকে ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা ও বামফ্রন্টের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার বলেছেন,” আমাদের কিছু বলতে হবে না। মানুষই প্রশ্ন তুলবেন,এসবের জন্যই কি ‘চলো পাল্টাই’?”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!