এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এতই প্রতিহিংসা মমতার? তৃনমূলের আজব কীর্তি! ঘটনা দেখে তাজ্জব বিজেপি!

এতই প্রতিহিংসা মমতার? তৃনমূলের আজব কীর্তি! ঘটনা দেখে তাজ্জব বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নজির কম নেই।‌ এতদিন সভা সমিতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এমনকি বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর মত অভিযোগও উঠেছে এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার একেবারে পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত হওয়ার পর বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে যে প্রতিহিংসায় জড়িয়ে করলেন তৃণমূল কর্মীরা, তা দেখে হতবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বারবার বলেন, তিনি নাকি সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু তার দলের কর্মীরা যেভাবে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির নিকাশি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাতে তিনি কি বলবেন? কি পদক্ষেপ নেবে রাজ্যের শাসক দল! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই পাথরপ্রতিমা ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

প্রসঙ্গত, গত একমাস ধরে রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখন ঝলমলে আবহাওয়া। ফলে আর জল জমে থাকার তেমন কোনো বিষয় নেই। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েতের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অন্নপূর্ণা হালদারের বাড়ির সামনের জমা জলে কমছে না কিছুতেই। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বড় অভিযোগ করেন সেই বিজেপি কর্মী। তার দাবি, এলাকায় তৃনমূল কর্মীর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তার বাড়ির নিকাশির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এতেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কতটা নৃশংস হলে এই কাজ করা যায়? তবে তৃনমূল কর্মী অবশ্য বড় বড় গলায় এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এত ভয়াবহ অভিযোগের পরেও কিভাবে তৃনমূল এত বড় বড় কথা বলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম শিবির।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই এই শিক্ষা পাচ্ছেন তার দলের কর্মীরা। বিরোধী নেতাদের কি করে সামাজিক বয়কটা করতে হয়, সেই রাস্তাতেও অনেক তৃনমূল নেতাদের হাটতে দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখানোর পালা তো চলছেই। কেস দিয়ে তৃনমূল বিরোধী ব্যাক্তিদের মুখ বন্ধ করা রাজ্যে যেন এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিহিংসা এমন জায়গায় পৌছবে যে, তৃনমূল নেতার পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়ির নিকাশির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এটা সত্যিই কল্পনার অতীত। বিরোধী শক্তিকে শেষ করতে আর কত নীচে নামবে রাজ্যের শাসকদল। পূর্নচন্দ্রপুর-শ্রীনারায়নপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা শাসকের অশনি সঙ্কেত বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে জয় পরাজয় থাকবে। কিন্তু শুধু এই ঘটনা বলে নয়, বারবার তৃনমূলের অনেক নেতাকেই বিরোধীদের বিভিন্ন কাজে বাধা দিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক হলেও সেখানে বিরোধী বিধায়কদের ডাকেন না মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তিনি যেমন বিরোধীদের সঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরন করেন, তেমনই তার দলের নীচুতলার কর্মীরাও সেই কাজ শুরু করেছে। তবে কিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে সদর্পে সভা করে এসেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা। কিন্তু সেখানে বিজেপির রমরমা সত্ত্বেও কোনো পুলিশ তাদের সভা করতে বাধা দেয়নি। তবে এরপরেও গনতন্ত্রকে রক্ষা করার শিক্ষা নেয়নি রাজ্যের শাসকদল। যার নমুনা বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে নিকাশি বন্ধ করার অভিযোগের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!