এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্ষমতা ভোগের দিন শেষ! মমতার পরিবারের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ? চাচাছোলা আক্রমণ বিজেপির!

ক্ষমতা ভোগের দিন শেষ! মমতার পরিবারের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ? চাচাছোলা আক্রমণ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একের পর এক ডাকা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বিভিন্ন সদস্য সদস্যাদের। তার ভাই, ভাই বউয়ের পর ডাকা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনীকে। তদন্তে সহযোগিতা করে তিনি ইডি দপ্তরে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রায় 8 ঘন্টা তাকে জেরা করা হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, এবার ধীরে ধীরে ভোরের আলো দেখা যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ব্যানার্জি পরিবারের জন্য অপেক্ষা করছে দুঃসংবাদ। তাহলে কি এবার শেষের শুরু হতে চলেছে? এতদিন ধরে যে ক্ষমতা ভোগ, যে দাপাদাপি করতে শুরু করেছিল একটি নির্দিষ্ট পরিবার, তাদের কি এবার ক্ষমতা চলে যাওয়ার মুখে? বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির টানা জেরা করা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে এই বিজেপি সাংসদ বলেন, “একটি পরিবার যাদের সবাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, এমনকি আমার মনে হয়, তাদের পরিবারে যে সমস্ত কুকুর বিড়াল রয়েছে, তারাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তাছাড়া সব জায়গায় সব দুর্নীতিতে তাদের নাম উঠে আসছে কেন? আদালতে গিয়ে মামলা করেছেন জন্যই তো তাদের ডাকা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশেই তো এই সমস্ত জেরা চলছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, মানুষের মনেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে হতাশা তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” বলা বাহুল্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোম্পানির সিইও, সেই লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে ইডির কাছে তথ্য রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই একের পর এক সেই কোম্পানির প্রাক্তন ডিরেক্টরদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা এবং বাবাকেও ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তারা নথি পাঠিয়ে দায় সেরেছেন। তবে তার স্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষন তাকে জেরা করা হয়েছে। আর তিনি যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন প্রতিবার গাড়ির কাচ তুলে গেলেও, এবার গাড়ির কাচ বন্ধ ছিল। হাসি হাসি মুখ এবার আর দেখতে পাননি সাংবাদিকরা। যা দেখে অনেকে বলছেন, এবার ঠিক মতো টাইট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই শেষের সেই দিন আসতে দেরি নেই বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তো বড় বড় গলায় বলেন, তিনি নাকি এক পয়সাও দুর্নীতি করেননি। তাহলে তার যখন এতই সৎ সাহস রয়েছে, তখন তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে পারছে। কিন্তু তিনি কেন হতে পারছেন না! কোথায় তার এত ভয়? কেন ইডি ডাকলেই তিনি রক্ষাকবচ নিতে আদালতে দৌড়ে যান! নিয়োগ দুর্নীতির জন্য কত ছেলে মেয়ে রাস্তায় বসে কাঁদছে, চাকরি পাননি। কিন্তু তাদের জন্য কি এইটুকু সহানুভূতি নেই এই তৃণমূল সরকারের নেতাদের? তদন্তের জন্য তারা যদি তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হন, তাদের যদি তথ্য তুলে দেন, তাহলে তো দ্রুত তদন্ত শেষ হবে। আর তখন তো এই ছেলে মেয়েগুলো চাকরি পেলে তাদের সংসারে খুশির দিন আসবে। কিন্তু সেটা কি এই তৃণমূল নেতাদের সহ্য হবে না! তারা ধরে পড়ে যাবেন, তাদের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাবে জন্যেই কি আজকে এই ছেলেমেয়েগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকতে হবে? তবে যদি এই চালাকি রাস্তায় বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্য সদস্যরা, তাহলে তারা ভুল করছেন। যেভাবে ইডি নতুন ভাবে টিম তৈরি করে পথে নেমেছে, তাতে বিপদ ব্যানার্জি পরিবারের দরজায় কড়া নাড়ছে বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির একাংশ কার্যত অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তদন্তে। তারা শুধু ডাকাডাকি করছে। নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করছে। দীর্ঘক্ষণ জেরা করছে, কিন্তু পদক্ষেপ নিতে পারছে না। আদালতও তাদের ভূমিকাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, 31 ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত তদন্ত শেষ করতেই হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নথি ইডির কাছে জমা পড়েছে। ফলে এবার দেখার বিষয় যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার মূল পর্বে প্রবেশ করে! কবে ধরা পড়েন রাঘব বোয়ালরা? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর সেই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!