দেশের বহু রাজ্যে আজ ক্ষমতা দখলের লড়াই, বিজেপি,কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের ভাগ্যপরীক্ষা কংগ্রেস জাতীয় বিজেপি রাজনীতি November 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সকাল থেকেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। তিনদফা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের শেষে আজ তার ফল প্রকাশ। একদিকে এনডিএ জোট, অন্যদিকে বিরোধীদের মহাজোট।বিহারের পাশাপাশি অন্য আরও 11 টি রাজ্যের 56 টি বিধানসভা আসনের আজ ফল ঘোষণা। সবজায়গাতেই চলছে ভোট গণনা। আর তার সাথেই ওঠানামা করছে রাজনৈতিক দলগুলির পারা। মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই 28 টি বিধানসভা আসনে ভোট গণনা চলছে। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা প্রেস্টিজ লড়াই দেখেছে সবাই। কারণ গত মার্চেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আর তাই সিন্ধিয়ার জনপ্রিয়তার পরীক্ষা ছিল এই নির্বাচন। তবে আশার কথা হলো, মধ্যপ্রদেশের 28 টি বিধানসভা আসনের গণনা শুরু হতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এবারেও পাল্লা ভারী হতে চলেছে বিজেপির। এখনো পর্যন্ত সেখানে এগিয়ে রয়েছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দল ছাড়েন আরো 21 জন কংগ্রেস নেতা। পরে আরও 4 কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের মারা যান 2 বিধায়ক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সব মিলিয়ে 28 টি আসন খালি হয়ে যায় যেখানে বিধানসভা নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়ে। আর সেক্ষেত্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দলে নিয়ে বিজেপি ঠিক করেছে না ভুল, সে ব্যাপারটিও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। অন্যদিকে গত 13 নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি ভোট হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, তেলেঙ্গানায়। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা আসনে রয়েছে উপনির্বাচন। এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এই উপনির্বাচন রয়েছে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের আসনে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে এই কুলদীপ সেঙ্গার উন্নাও ধর্ষণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বলা যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের পরীক্ষা। বিরোধীরা বরাবরই দাবি করে এসেছে, একের পর এক ঘটনায় মানুষের মন থেকে বিজেপি সরে যাচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু যখনই নির্বাচন হচ্ছে, তখনই কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ থাকছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপিকে আটকাতে বিরোধীরা কোথাও মহাজোট করেছে, কোথাও আসন রফা করেছে। কিন্তু তাতে করেও বিরোধীরা শেষ রক্ষা করতে পারবে কিনা সেদিকেই এখন নজর দেশের ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -