এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাড়ছে সংক্রমণ, ফের হতে পারে লকডাউন, বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা !

বাড়ছে সংক্রমণ, ফের হতে পারে লকডাউন, বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে করোনাকে আটকাতে একপ্রস্থ লকডাউন হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। অন্যদিকে দেশজুড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। দেশের বড় বড় শহরগুলোতেই করোনার প্রাদুর্ভাব অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা গিয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর করোনা তালিকায় ভারতের রাজধানী দিল্লি অন্যতম স্থান অধিকার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দিল্লিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে করোনা সংক্রামিতর সংখ্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি। বর্তমানে এই প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।

অনেকেই দাবি করছেন, দিল্লিতে যেভাবে দূষণ বেড়ে গেছে তাতে আংশিক লকডাউন ছাড়া করোনাকে কোনমতেই ঠেকানো যাবে না। অন্যদিকে দিল্লির করোনা হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই শয্যার অভাব দেখা দিচ্ছে। দিল্লি সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, উৎসবের মরসুমে অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। মানছেন না করোনার বিধি-নিষেধ। যার ফলস্বরূপ সংক্রমণ বেড়ে চলেছে আপন গতিতে। এ প্রসঙ্গে দিল্লির ফর্টিস হসপিটালের চেয়ারম্যান অনুপ মিশ্র জানিয়েছেন, যেভাবে দিন দিন দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাতে আংশিক লকডাউন করলেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে বাস কিংবা মেট্রো পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে।

সূত্রের খবর, গত রবিবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন 7745 জন। তার আগের শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিলেন 7178 জন। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের ন্যাশনাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য গিরিধর আর বাবু জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন মেগাসিটিতে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে 44 শতাংশ হলো দিল্লির মানুষ। তিনি আরোও জানিয়েছেন, দিল্লিতে ঠিকঠাকভাবে করোনার টেস্ট হয়নি। কোভিড মোকাবিলার প্রচেষ্টাতেও বিভিন্ন গলদ ছিল। যার ফলস্বরূপ দিল্লিতে বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর হার। গিরিধর বাবু বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন আগে প্রতি 10 লক্ষ্যে মারা যাচ্ছিলেন 292 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 369। মনে করা হচ্ছে, দিল্লির মৃত্যুর হার মুম্বাইয়ের পরেই। অন্যদিকে আইসিএমআর কর্তা কিন্তু লকডাউনের পরিপন্থী নন। কারণ তাঁর মতে, আগেও লকডাউন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে অবস্থার বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি। একইভাবে ম্যাক্স হেলথকেয়ারের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর সন্দীপ বুধিরাজা জানিয়েছেন, দিল্লিতে সংক্রমণের হার বেড়েছে 15.26 শতাংশ। যদিও মৃত্যুর হার এক শতাংশের কম বলেই তিনি দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে অক্টোবর মাসেই দিল্লি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে ওঠা নিয়ে। উৎসবের মরসুমে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এসেছেন রাজধানীতে।

আগামী শীতে দিল্লিতে প্রতিদিন 15 হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগেই নীতি আয়োগ এর সদস্য তথা চিকিৎসক ভি কে পালের নেতৃত্বে একটি এক্সপার্ট গ্রুপ গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারই নির্দেশ অনুযায়ী দিল্লি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। রুগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালে বেডের সংখ্যাও বাড়াতে হবে আর সেই অনুযায়ী দিল্লি সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত করোনার সংক্রমণ বেড়ে ওঠা নিয়ে দিল্লির মানুষজন অত্যন্ত আতঙ্কিত।

একইভাবে চিন্তা বেড়েছে দিল্লি প্রশাসনের। উৎসবের মরসুমে আপাতত সংক্রমণ আটকাতে দিল্লি সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সে দিকে কিন্তু নজর থাকছে সবার। পাশাপাশি নতুন করে দিল্লিতে লকডাউন শুরু হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ সম্প্রতি খবরে উঠে এসেছে দিল্লি জুড়ে দেখা যাচ্ছে মারাত্মক দূষণ। এই দূষণ যদি মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায়, তাহলে করোনা সংক্রমণকে আরো চতুর্গুণ হারে বাড়িয়ে তুলতে তা অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে দিল্লির পরিস্থিতি যে অত্যন্ত জটিল হয়ে চলেছে, সে ব্যাপারে একমত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!