এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনেও বিরোধীদের অভিযোগ সামলানো ও তৃণমূলের প্রচারের মূল কারিগর পিকে! দাবী সংবাদমাধ্যমের

লকডাউনেও বিরোধীদের অভিযোগ সামলানো ও তৃণমূলের প্রচারের মূল কারিগর পিকে! দাবী সংবাদমাধ্যমের

গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রণনীতিকারের দায়িত্ব দেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের উপর। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের হারিয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা করেন প্রশান্ত কিশোর। যার ফলে রাজ্যে তৃণমূল অনেকটাই ভালো জায়গায় চলে গিয়েছিল। এদিকে বাংলায় পৌরসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে, এমন একটা সময়ে সারা বিশ্বজুড়ে দেখা যায় করোনার দাপট।

যার ফলে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে এখন অন্যান্য দেশের মত ভারতবর্ষও লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এই করোনা মহামারীর সময়কালে প্রথম দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে কেউ কোনো বিরোধিতা না করলেও, যত দিন যাচ্ছে, তত এই ব্যাপারে সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রেশনে দুর্নীতি থেকে শুরু করে করোনায় প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যু চেপে যাওয়া, ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরে শাসক দলকে চাপে রাখছে বিরোধী দল বিজেপি।

আর যখন বিরোধীদের রোষানলে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল কিছুটা ব্যাকফুটে, ঠিক তখনই তৃনমূলকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কলকাতায় এসেছেন প্রশান্ত কিশোর বলে একটি গুঞ্জন রটতে শুরু করেছিল। ইতিমধ্যেই লকডাউনের মধ্যে কেন প্রশান্ত কিশোর আইন ভঙ্গ করে কার্গো বিমানের সাহায্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এলেন, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তবে পাল্টা এই ব্যাপারে অবশ্য প্রশান্ত কিশোরের তরফে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি তার আসার কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারে, তাহলে তিনি নিজেকে সবদিক থেকে সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট এই নির্বাচনী রননীতিকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে যখন বিরোধীরা করোনা ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে কোণঠাসা করছে, ঠিক তখনই সামনে এল কলকাতার এক নামী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোরের টিমের সাহায্যে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশান্ত কিশোরের টিম তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিচ্ছে।

আর সেই মতই নাকি তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা, জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছেন খাওয়ার। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে তৃণমূলের অনেক নেতা বা নেত্রী ছবি দিয়ে প্রচার করছেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে এই ব্যাপারটিতে যাতে সকলে সতর্ক থাকেন, তার জন্য পিকের টিমের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও ওই সংবাদমাধ্যমের দাবী।

শুধু তাই নয়, মানুষকে সাহায্য করার পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাংলার প্রতি যে বঞ্চনা করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারটিও যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়, তার জন্য তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার পক্ষ থেকে দলের জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়াও হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোর কলকাতায় এসেছেন কি না, তা সত্যিই বিতর্কের বিষয়। তবে রাজ্য সরকারকে যখন করোনা মহামারীর বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে বিপাকে ফেলেছে বিরোধীরা, তখন প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে রাজ্যের শাসকদলের উদ্দেশ্যে সাধারন মানুষের পাশে থাকার যে নির্দেশ এসেছে, তা অনেকটাই তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেবে।

তবে প্রশান্ত কিশোরের এই নির্দেশ কতটা সূক্ষ্মভাবে পালন করেন তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা এবং তাতে কতটা সাফল্য মেলে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। যদিও এই নিয়ে সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বা প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে কিছুই জানা যায় নি। এই প্রতিবেদনও সম্পূর্ণ রূপে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে করা। এই প্রতিবেদন কোনোমতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয় বা কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে অসম্মানিত করার উদ্দেশ্যে প্রচারিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!